Wednesday, December 11, 2024
spot_img
Homeঅন্যান্যমুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রমযোদ্ধা নারীর অজানা গল্প এই বই

মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রমযোদ্ধা নারীর অজানা গল্প এই বই

সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে নির্যাতিত নারীর চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য ১৯৭২ সালে স্থাপিত হয় ‘সেবাসদন’। এখানকার অন্যতম চিকিৎসক ছিলেন ডা. হালিদা হানুম আখতার।

এই সেবাসদন ও নির্যাতিতদের নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক বই লিখেছেন ডা. হালিদা। ‘সম্ভ্রমযোদ্ধা: সেবাসদন ও একজন ডা. হালিদা’ নামের বইটির মোড়ক উন্মোচন ২০২৪- এর ‘একুশে বই মেলায়’ হলেও, গত ২০ এপ্রিল সকালে, বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রহমান হলে আড়ম্বরপূর্ণভাবে এটি প্রকাশ হয়।

বইটি সম্পর্কে আলোচনা করেন- প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জাতীয় নারী পুনর্বাসন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক শিরিন জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্য কমিউনিটি বেইজড ক্যানসার হাসপাতালের প্রিভেনটিভ অনকোলজি বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার, সাহিত্যিক মনসুর মূসা, ওয়াটারএইড-এর আঞ্চলিক পরিচালক ডা. খাইরুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. একেএম মুজাহিদুল ইসলাম, চ্যানেল আইয়ের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জান্নাতুল বাকেয়া কেকা সহ অন্যান্যরা।

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করা এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের অবদান আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে একটা বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে যারা পাক বাহিনীর মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, তারা বীরাঙ্গনা উপাধি পেলেও পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সবসময় লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে। এসব সম্ভ্রমযোদ্ধা নারীর অবদানকে সম্মান জানানো ছাড়া দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

ডা. হালিদার বইটির সাফল্য কামনা করে বক্তারা আরো বলেন, সম্ভ্রমযোদ্ধাদের নিয়ে ডা. হালিদা এই বইটি লিখে এক বেদনাময় বাস্তব স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। সম্ভ্রমযোদ্ধাদের তিনি বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছেন। তাদের কষ্টের কণ্টকমালা গাঁথতে চেয়েছেন, যা ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে ছিলেন প্রখ্যাত স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আ হ ম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী। প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা।

বিশিষ্ট নারী ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আখতার ২০২৩ সালে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘রোকেয়া পদক’ এবং বাংলা একাডেমির ‘সাম্মানিক ফেলোশিপ’ পান। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির এই অধ্যাপক জন্মনিয়ন্ত্রণ, ব্রেস্ট ফিডিং, মাতৃমৃত্যু ও অসুস্থতা, গর্ভপাত এবং কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ওপর গবেষণা কার্যক্রমের কারণে দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত। বাংলাদেশে সূর্যের হাসি স্বাস্থ্যসেবায় তাঁর ভূমিকা অনন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments