সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
২০০৯ সালে বিয়ে হয় হামিদা ইয়াসমিনের। সংসার তেমন সুখের ছিল না। একরাতে স্বামী তাকে মেরে বাসায় ফেলে রেখে চলে যায়। অজ্ঞান অবস্থায় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে। এরপর ২০১৬ সালে ডিভোর্স হয়ে যায় হামিদার। একটি সন্তান রয়েছে। তাও স্বামী রেখে দেয়।
এমনই এক চরম বিপদগ্রস্ত অবস্থায় নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, স্বনির্ভর হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে হামিদা। উজ্জ্বলা থেকে পারসোনাল গ্রুমিং ও হেয়ার ট্রিটমেন্টের কোর্স করে। বর্তমানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির পাশাপাশি বিউটি হেলথ- নিয়ে কাজ করছে সে। উজ্জ্বলা কেয়ারের বিভিন্ন পন্যের ( শ্যাম্পু, বডি ওয়েল ইত্যাদি) সেলস পারসন হিসেবেও কাজ করছে। উজ্জ্বলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে বর্তমানে স্বাবলম্বী হয়েছেন এই নারী।
‘ জীবনটা শুরু থেকেই খুব কষ্টের ছিল। ভীষণরকম বিষণ্ণতায় পড়ে গিয়েছিলাম। ডিভোর্সের পর সন্তান ছাড়া হয়ে কী করবো দিশা পাচ্ছিলাম না। এখন অনেকটাই ঠিকঠাক আছি। আমি আমার স্বামীকে দেখাতে চাই, তাকে ছাড়াও সফলতা অর্জন করা যায়। আমি তাঁর ওপর নির্ভরশীল নই- বলছিলেন, হামিদা।

হামিদা ইয়াসমিন। ছবি : সংগৃহীত
উজ্জ্বলা আমার জীবনকে বদলে দেওয়ার জন্য ৯০ ভাগ সহযোগিতা করেছে জানিয়ে হামিদা বলেন, ‘ উজ্জ্বলার কথা আমি প্রথম জানতে পারি একজন সহকর্মীর মাধ্যমে। এরপর প্রতিষ্ঠানটির কক্সবাজার শাখায় ২০১১ সালে প্রশিক্ষণ নিই। উজ্জ্বলার পারসোনাল গ্রুমিংয়ের ক্লাসটি আমার আত্মশক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিল। আবারও নতুনভাবে কাজ করার শক্তি পেয়েছিলাম। এখন অনেকটাই স্বনির্ভর হতে পেরেছি।’
ভবিষ্যতে বিউটি পার্লারের ব্যবসা করে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে হামিদার। জানালেন, আমার স্বপ্ন উদ্যোক্তা হওয়ার। আমি মানুষকে দেখিয়ে দিতে চাই, সব প্রতিকূলতার মধ্যেও একজন নারী আত্মশক্তি নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
বি : দ্র : বাংলাদেশের বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিং ইন্ডাস্ট্রিতে উদ্যোক্তা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে উজ্জ্বলা লিমিটেড। উজ্জ্বলায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সংগ্রাম করে সাফল্য অর্জন করেছেন, এমন কয়েকজন নারী ও পুরুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে সাতকাহনের ধারাবাহিক পর্ব চলছে। এই পর্বটি ছিল ৮২তম। উজ্জ্বলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন :
https://www.facebook.com/UjjwalaBD
https://www.instagram.com/UjjwalaBD/
ফোন : ০১৩২৪৭৩৪১৫৭