সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ। বিভিন্ন ওষুধি গুণের জন্য এটি যে দেহের জন্য ভালো, তা তো সবারই জানা। তবে অতিরিক্ত খেলে কিন্তু ঘটতে পারে বিপত্তি।
যেমন, মধুর মধ্যে রয়েছে সুগার ও কার্বহাইড্রেট। এটি বেশি খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস থাকলে অতিরিক্ত মধু খাওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। বেশি মধু খাওয়ার আরো ক্ষতিকর দিকের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথশর্টস।
রক্তচাপ কমিয়ে দেয়
মধু রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে বেশি মধু খেলে রক্তচাপ কমে যাওয়া বা হাইপোটেনশনের ঝুঁকি থাকে। এটি দীর্ঘমেয়াদে হার্টের ক্ষতি করে।
পাকস্থলীর সমস্যা বাড়ায়
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে মধু কম খাওয়াই ভালো। এ ছাড়া বেশি মধু খাওয়া পেট ফাঁপা ও ডায়রিয়ার সমস্যা বাড়ায় ; অতিরিক্ত চিনি থাকার কারণে এটি হজমের জন্যও ক্ষতিকর।
ওজন বাড়ায়
মধুর মধ্যে থাকা উচ্চ পরিমাণ ক্যালরি, সুগার ও কার্বহাইড্রেট ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই ওজন বেশি থাকলে মধু খাওয়ার পরিমাণ কমাতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
দাঁতের সমস্যা বাড়ায়
বেশি মধু খেলে অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া হয়। বেশি মিষ্টি দাঁতের জন্য সবসময়ই ক্ষতিকর। ন্যাশনাল নিউট্রিয়েন্ট ডাটাবেজ বা ইউএসডি- এর মতে, মধুতে রয়েছে ৮২ শতাংশ মিষ্টি। এই পরিমাণটি দাঁতের ক্ষতির জন্য যথেষ্ট। এ ছাড়া মধু যেহেতু আঠালো, তাই দাঁতে সহজে লেগে থাকে। এতে পরে ক্ষয় রোগ হতে পারে।
কতটুকু মধু খাবেন?
অতিরিক্ত মধু খাওয়ার ক্ষতিকর দিক রয়েছে। তাই বলে তো খাওয়া বন্ধ করে এর উপকারগুলো থেকে নিজেকে বাদ দেওয়া যাবে না। খেতে হবে পরিমিত ও পরিমাণমতো। এই ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৫০ মিলিলিটার বা এমএল মধু খেতে পারেন। তবে যেকোনো খাবার নিয়মিত আপনার ডায়েটে যোগ করার আগে শরীরের অবস্থা বুঝে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।