শাশ্বতী মাথিন
বিশ্ব ভিটামিন ডি দিবস আজ। এই ভিটামিন শরীরের জন্য খুব জরুরি। এটি হাড় শক্তিশালী করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। করোনাভাইরাস রোধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। আর ভিটামিন ডি কাজটি ভালোভাবে করে।
ভিটামিন ‘ডি’- এর ঘাটতি হলে শরীরে কী সমস্যা হয়, এ বিষয়ে জানিয়েছেন হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সালেহ আহমদ। তিনি বলেন, “ভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে শিশুদের রোগ রিকেটসিয়া হয়। এখানে হাড় বেঁকে যায়। এ ছাড়া এই ভিটামিনের অভাবে অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয়ের সমস্যা বাড়ে। শরীরে ব্যথা, হাড়ে ব্যথা, মানসিক অবসাদ, ত্বকের সমস্যা, বিষণ্ণতা ইত্যাদি সমস্যা ঘটে।”
বাংলাদেশের মানুষের ক্ষেত্রে ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতি হওয়ার প্রবণতা রয়েছে জানিয়ে ডা. সালেহ বলেন, ‘যেহেতু এ দেশের মানুষ ফুল হাতা পোশাক পরে, তাই ত্বক সূর্যের আলোর সংস্পর্শে কম আসে। এ থেকেও ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হয়। আবার এখনকার চাকরিগুলো বেশিরভাগই ডেস্ক কেন্দ্রিক। দীর্ঘক্ষণ বদ্ধ জায়গায় কাজ করা, সূর্যের আলোর সংস্পর্শ না আসা ভিটামিন ডি ঘাটতির বড় কারণ।’
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে দৈনিক ৪০০ থেকে ৮০০ আইইউ (ইন্টারন্যাশনাল ইউটিন) অথবা ১০ থেকে ২০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি প্রয়োজন জানিয়ে ডা. সালেহ বলেন, ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সূর্যের আলোতে। এ ছাড়া তৈলাক্ত মাছ, ম্যাকরেল, স্যামন, সারদিন ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছে এটি পাওয়া যায়। লাল মাংস (গরু, খাসি), ডিম ও দুধের মধ্যে সামান্য পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতি পূরণে সূর্যের আলোতে যেতে হবে এবং ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে বলে পরামর্শ তাঁর।