সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
করোনার পর আতঙ্ক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাক। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে দুই থেকে তিন জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতার বিকল্প নেই। চলুন জেনে নিই এই রোগ সম্পর্কে ছয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
১. মিউকর নামক বিশেষ ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণে মিউকরমাইকোসিস (mucormycosis) বা ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাস হয়।
২. ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আগেও প্রকৃতিতে বিদ্যমান ছিলো। তবে অতটা কাবু করতে পারেনি, যতটা কোভিড পরবর্তী জটিলতা হিসেবে করছে।
৩. ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে মাটি, পচাঁ পাতা বা কাঠ ও গাছে, পচনশীল জৈব পদার্থে, পঁচা সবজি ও ফল এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস জন্মায়। এরা বাতাসের মাধ্যমে মানব শরীরে নাক ও মুখ দিয়ে প্রবেশ করে। এ ছাড়া চামড়া কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে সেই ক্ষত স্থান দিয়েও দেহে প্রবেশ করতে পারে।
৪. উপসর্গ : মুখের মধ্যে তালু বিবর্ণ, নাকের ওপর কালো বা ধূসর বর্ণ, জ্বর, নাক বন্ধ, মাথাব্যথা, শ্বাস কষ্ট, দৃষ্টি শক্তির তারতম্য, নাক দিয়ে কালো বা খয়েরী কিছু বের হওয়া, কাশিঁতে রক্ত, বুকব্যথা, চোখের পাতা ফুলে যাওয়া, মুখের এক পাশ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।
৫. কোভিড পরবর্তী জটিলতা হিসেবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, অঙ্গ প্রতিস্থাপন, অপুষ্টি, শারীরিকভাবে দুর্বল, ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীরা এ রোগের ঝুঁকিতে থাকে।
৬. ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধে মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা জরুরি। ডায়াবেটিস ও স্টেরয়েড থেরাপি নিচ্ছে এমন রোগীদের নিয়মিত ব্লাড সুগার পরীক্ষা করতে হবে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া