ডা. শাকিল মাহমুদ
ভালো স্বাস্থ্যই সুস্থ ও সতেজ জীবনের চাবিকাঠি। এ কথা আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। সুস্বাস্থ্য থাকলে যেকোনো কিছু অর্জন করা সম্ভব। শুধু টাকা থাকলেই যথেষ্ট নয়; সুস্বাস্থ্য থাকলে আমরা সম্পদের সদ্বব্যবহার করতে পারি। স্বাস্থ্য বলতে একজন মানুষের শারীরিক, সামাজিক ও মানসিক অবস্থাকে বোঝায়।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতনতা এমন একটি বিষয়, যার উপর দেশের মানব সম্পদ অনেকাংশে নির্ভরশীল। নাগরিকের সুস্বাস্থ্যের অভাবে দেশের উৎপাদনশীলতা কমে; কমে যায় উন্নয়নের গতি। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের গুরুত্ব এখানেই।
আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। প্রতি বছর ৭ এপ্রিল, একটি নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হয়। ২০২৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘হেলথ ফল অল’। অর্থাৎ, ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’।
পৃথিবীর বহু দেশ এই দিনটি পালন করে। মূলত, বিশ্বব্যাপী জন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে প্রচার ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই এই দিনটি পালিত হয়। ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৬ সালের জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ বলে নির্ধারিত হয়।
এই দিনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৫০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার ৭৫তম বার্ষিকী পালন করবে। পৃথিবীর বহু দেশে এই দিনটি পালন করা হয়। ৭ এপ্রিল ২০২৩, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৭৫ তম বার্ষিকী পালন করছে।
এই বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে আসুন আমরা একে অপরের স্বাস্থ্য সচেতনা বৃদ্ধি করতে, একটি সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়তে কাজ করি।
লেখক
চিকিৎসক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ( সাভার)