সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
স্ট্রোক একটি মারাত্মক রোগ। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ এটি। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ১২ মিলিয়ন মানুষ নতুন করে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়।
বিশ্বে বর্তমানে ১০১ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনযাপন করছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে এই হার প্রায় ৮০ গুণ বেড়ে যাবে। বাংলাদেশেও এই হার কিন্তু কম নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রতি ১ হাজারে প্রায় ১২ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত। স্ট্রোকে মারা যাওয়াদের দুই-তৃতীয়াংশ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের দেশে হয়ে থাকে। গতকাল, ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস নিয়ে আলোচনা সভায় এসব কথাই বলেন বক্তারা।
এতে মূল নিবন্ধ উপস্থাপনা করেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক মামুন মুস্তাফি (অব)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক এস এ খান। আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র কুন্ডু, অধ্যাপক খুরশীদ মাহমুদ, ডা. শিরাজী শফিকুল ইসলাম, ডা. মোহাম্মদ উল্লাহ ফিরোজ।
সভায় বক্তারা বলেন, স্ট্রোক ভয়াবহ রোগ। ১৯৯৬ সালের আগে বিশ্বব্যাপী স্ট্রোকের চিকিৎসা ছিল না। আমাদের দেশেও স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা শুরু হয় বছর দশেক আগে। এখন স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা সরকারি ও বেসরকারিভাবে হচ্ছে।
মূল নিবন্ধ উপস্থাপনায় বলা হয়, যদি মুখ বেঁকে যায়, এক হাত অবশ হয়ে যায়, কথা জড়িয়ে যায় তাহলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে নিলে স্ট্রোকের অত্যাধুনিক চিকিৎসা আইভি থ্রোম্বলাইসিস করা সম্ভব। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে স্ট্রোকের চিকিৎসা সময় সাড়ে চার ঘণ্টা থেকে বেড়ে যাচ্ছে। আইভি থ্রোম্বলাইসিস ছাড়াও স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসা মেকানিকাল থ্রোম্বেক্টমি দেশেই হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে স্ট্রোকের ৬ ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। তবে ক্ষেত্র বিশেষে স্ট্রোকের ৬ ঘণ্টা পরেও আইভি থ্রোম্বলাইসিস করা যায়।