সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পরই বিয়ে হয়ে যায় কেরাণীগঞ্জের মেয়ে নাহিদা আক্তার টুম্পার। লেখাপড়া শেষ না করতে পারার একটি কষ্ট ছিল ভিতরে। তবে সংসার-সন্তান সামলানোর পাশাপাশি টুকটাক করে বিউটিফিকেশনের কিছু কাজ শেখেন।
বাড়িতে ছোট করে একটি স্টুডিও পার্লারও ছিল তাঁর। তবে পরবর্তী সময় ভাবলেন কাজটা যেহেতু করছেনই, নিজেকে ভালোভাবে দক্ষ করা প্রয়োজন। স্বামীও সম্মতি দিলেন। এরপরই বিউটিফিকেশনের কোর্স করতে ভর্তি হওয়া উজ্জ্বলায়। এখান থেকে সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করে বর্তমানে একটি বড় পার্লার খুলেছেন তিনি। সেখান থেকে মাসে আয় হচ্ছে প্রায় এক লাখ টাকা। তিনি হয়েছেন স্বাবলম্বী, উদ্যোক্তা। উজ্জ্বলার সঙ্গে তাঁর পথ চলাটা কেমন ছিল, সেই গল্পই জানাবো।
উজ্জ্বলা জীবন বদলে দিয়েছে
যেহেতু আমি কেরাণীগঞ্জে থাকি, তাই শেখার জন্য এমন একটি জায়গা খুঁজছিলাম যেখানে আস্থা রাখা যায় এবং শেখাটা কাজে লাগে। উজ্জ্বলার খোঁজ পাই অনলাইন থেকে। সেখানে হোস্টেল রয়েছে, বাচ্চা রাখার জায়গাও রয়েছে। এরপর একদিন উজ্জ্বলায় গিয়ে কথা বললাম। পরিবেশটা খুব ভালো লাগে। এরপর ফুল কোর্সে ভর্তি হই। এখানকার ফ্যাকাল্টিরা অনেক ভালোভাবে কাজ শেখায়। কোথায় ফাঁক রাখে না। ব্যবহারও অনেক ভালো। উজ্জ্বলায় গিয়ে অনেক আপন লাগে। বাড়ির মতোই অনুভূতি হয়। মনে হয় না দূরে গিয়েছি।
আগে কেউ আমাকে চিনতো না। কেবল একজন গৃহীনি ছিলাম। এখন আমার কাজের মাধ্যমে অনেকে চেনে, ভালোবাসে। এটা অনেক বড় পাওয়া। এটি হয়েছে কেবল উজ্জ্বলার জন্য। উজ্জ্বলা আমার জীবন বদলে দিয়েছে।
লেখাপড়া শিখতে না পারার কষ্ট ছিল মনে
যেহেতু ছোটবেলায় বিয়ে হয়ে যায়, লেখাপড়াটা আর নিয়মিত করতে পারিনি। এর একটা কষ্ট ছিল মনে। জীবনে কিছুই করতে পারলাম না, এমন মনে হতো। মনে হতো, কী করা যায়, কীভাবে সময়কে কাজে লাগানো যায়? ছোটবেলায় যেহেতু সাজগোজ ভালো লাগতো, তাই এই বিষয়টাকে বেছে নিলাম। এখন নিজেই পার্লার খুলে ভালো আয় করতে পারছি। এটা অনেক সৌভাগ্য।
উজ্জ্বলা শিখিয়েছে সংসার সামলে কীভাবে কাজ করা যায়
প্রথমে যখন উজ্জ্বলায় কোর্স শিখতে তখন একটু দ্বিধা ছিলো মনে। সংসার সামলে, কোর্স শিখে কাজ করতে পারবো তো! তবে সেই দ্বন্দ্ব কাটিয়ে দিয়েছে উজ্জ্বলা। প্রতিষ্ঠানটির সহ প্রতিষ্ঠাতা আফরোজা পারভীন আপার একটি গ্রুমিং ক্লাসও ছিলো, সেটি করতে গিয়ে শিখেছি সংসার ও ক্যারিয়ার কীভাবে একত্রে সামলানো যায়। এই ক্লাসটি আমাকে অনেক শিখিয়েছে। উজ্জ্বলার গ্রুমিং ক্লাস থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে ফেলেছি। এখন সবকিছুকে ব্যালেন্স করতে পারি। উজ্জ্বলার শেখানোর কৌশল অনেক ভালো। এমনিতেই বিষয়গুলো মাথায় চলে আসে।
আরো এগিয়ে যেতে চাই
উজ্জ্বলায় শিখেছি বলেই এই পর্যায়ে দাঁড়াতে পেরেছি। কাজ করে আরো সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমি বলবো, যারা বিউটি আর্টিস্ট হতে চায় তারা এদিক-সেদিক না ঘুরে উজ্জ্বলার মতো একটি ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করুক। কারণ, বর্তমানে মানুষের সময়ের গুরুত্ব অনেক এবং বিউটি ইন্ডাসট্রিও জায়গাটাও প্রতিযোগিতামূলক।
বি : দ্র : বাংলাদেশের বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিং ইন্ডাস্ট্রিতে উদ্যোক্তা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে উজ্জ্বলা লিমিটেড। উজ্জ্বলায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সংগ্রাম করে সাফল্য অর্জন করেছেন, এমন কয়েকজন নারী ও পুরুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে সাতকাহনের ধারাবাহিক পর্ব চলছে। এই পর্বটি ছিলো ৫৬তম। উজ্জ্বলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন :
https://www.facebook.com/UjjwalaBD
https://www.instagram.com/UjjwalaBD/
ফোন : ০১৩২৪৭৩৪১৫৭