সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
ছোটবেলায় বাবা মারা যায় ময়মনসিংহের মেয়ে তানিয়া আক্তারের। পাঁচ বোন দুই ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট তিনি। আর্থিক অনটনে পড়ে কেবল পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার সুযোগ পান। ছোটবেলাটা খুব কষ্টে কাটে। কখনো খেতে পেতেন, কখনো পেতেন না। সবসময় ভাবতেন নিজেকে স্বাবলম্বী করতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।
এরপর জয়িতা ফাউন্ডেশন ও উজ্জ্বলার যৌথ উদ্যোগে হওয়া একটি বিউটিফিকেশন প্রশিক্ষণে অংশ নেন তিনি। ১০ দিন ব্যাপি হওয়া বিনামূল্যের এই প্রশিক্ষণ তাঁর জীবনকে অনেকটাই বদলে দিতে সাহায্য করে। বর্তমানে তিনি একটি স্থানীয় পার্লারে কর্মরত রয়েছেন।
‘আমার ছোটবেলাটা খুব যন্ত্রণার ছিল। লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মনে হয় কীভাবে জীবনকে এগিয়ে নেব। দরিদ্র হওয়াটা একটা অভিশাপের মতো লাগছিল। তবে সবসময় চেয়েছি স্বাবলম্বী হতে। ভাবতাম, এই অবস্থা থেকে উঠে আসতে, কী করা যায়? তখনই উজ্জ্বলা ও জয়িতা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হওয়া এই বিউটিফিকেশন কোর্স শুরু হয়। এটি আমার জীবনে নতুন সম্ভাবনার পথ খুলে দেয়’, বলছিলেন তানিয়া।

‘এই প্রশিক্ষণটি আমার সাহস জুগিয়েছে। এটি নিয়ে আমি অনেকদূর এগিয়েছি। যতটুকু বাকি রয়েছে চেষ্টা করছি শেষ করার জন্য। উজ্জ্বলা আমাকে একা চলতে শিখিয়েছে, হাসতে শিখিয়েছে, বাঁচতে শিখিয়েছে। আমাদের মতো মেয়েদের জন্য এই ধরনের প্রশিক্ষণগুলো খুবই জরুরি। সরকারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ‘ – বলেন তানিয়া।
ভবিষ্যতে নিজের একটি পার্লার দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন ১৯ বছর বয়সী এই তানিয়া। পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে চান। তানিয়া জানান, আমি চাই সম্পূর্ণভাবে একজন কর্মজীবী ও স্বাবলম্বী নারী হতে। মানুষ যেন আমায় দেখে শেখে এবং বলে, ‘এই মেয়েটি অনেক কষ্ট করে এখানে এসেছে’।
বি : দ্র : বাংলাদেশের বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিং ইন্ডাস্ট্রিতে উদ্যোক্তা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে উজ্জ্বলা লিমিটেড। উজ্জ্বলায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সংগ্রাম করে সাফল্য অর্জন করেছেন, এমন কয়েকজন নারী ও পুরুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে সাতকাহনের ধারাবাহিক পর্ব চলছে। এই পর্বটি ছিল ৮১তম। উজ্জ্বলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন :
https://www.facebook.com/UjjwalaBD
https://www.instagram.com/UjjwalaBD/
ফোন : ০১৩২৪৭৩৪১৫৭