সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
বাবার আয় কম ছিল, তাই এইচএসসি পাস করার পরই মেয়েকে বলে দেন, ‘আর পড়াতে পারবেন না’। কিন্তু মেয়ে ছিল নাছোড়বান্দা। মানুষকে সাজিয়ে, মেহেদী পরিয়ে নিজের আয়ে গ্রেজুয়েশন শেষ করে। এরপর বিউটিফিকেশনকেই পুরোপুরি পেশা হিসেবে বেছে নেয়।
বর্তমানে উজ্জ্বলা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়িতেই একটি স্যালন দিয়েছে সে। মাসে আয় হয়, প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। যার কথা বলছি সে সাভারের মেয়ে সুমাইয়া রহমান ইমা। বিউটি আর্টিস্ট হিসেবে সুমাইয়ার জীবনের লড়াইের গল্প রইল পাঠকদের জন্য।
সাজসজ্জার বিষয়টি ছোটবেলা থেকে ভালো লাগতো
ছোটবেলা থেকেই সাজসজ্জা বিষয়টা পছন্দের ছিল। ভালো সাজাতে পারতাম, তাই একটি কদরও ছিল এলাকায়। পরিবার থেকে লেখাপড়ার বিষয়টি নিষেধ করার পর জেদ নিয়েছিলাম নিজে কিছু করবো। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম বিষয়টিতে। মনে হয়েছে, নিজের পায়ে দাঁড়াতেই হবে। সেটা করে দেখিয়েছি। এখন নিজের খরচ নিজেই চালাতে পারি।
উজ্জ্বলার কারণে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে
উজ্জ্বলার কথা আমি জানি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে। সাভার এনাম রোড বাগান বাড়ি রেস্টুরন্ট- এ জয়িতা ও উজ্জ্বলার উদ্যোগে ১০দিনব্যাপী একটি বিউটিফিকেশন কোর্স হয়। এতে অংশ নিই। প্রশিক্ষণটি আমার আত্মবিশ্বাস দৃঢ় করেছে। নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সাহস পেয়েছি। আমার জীবনে পরিবর্তন ও ঘুরে দাঁড়ানোর সম্পূর্ণ অবদান উজ্জ্বলার।
বিউটিফিকেশনের কদর বাড়ছে
দিন দিন বিউটিফিকেশনের চাহিদা বাড়ছে। আগের চেয়ে মানুষ এখন বেশি সৌন্দর্য সচেতন। তাই ক্লাইন্টও পাচ্ছি। এই পেশাটির কদরও বাড়ছে। ভবিষ্যতে ইচ্ছে রয়েছে মেকআপ ও হেয়াস্টাইল নিয়ে কাজ করার। এর পাশাপাশি আয়ুর্বেদ নিয়েও কাজ করতে চাই।
বি : দ্র : বাংলাদেশের বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিং ইন্ডাস্ট্রিতে উদ্যোক্তা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে উজ্জ্বলা লিমিটেড। উজ্জ্বলায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সংগ্রাম করে সাফল্য অর্জন করেছেন, এমন কয়েকজন নারী ও পুরুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে সাতকাহনের ধারাবাহিক পর্ব চলছে। এই পর্বটি ছিল ৮৯তম। উজ্জ্বলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন :
https://www.facebook.com/UjjwalaBD
https://www.instagram.com/UjjwalaBD/
ফোন : ০১৩২৪৭৩৪১৫৭