সাতকাহন ২৪.কম ডেস্ক
কাঠগোলাপ রঙের ব্লাউজের পেছনে হয়তাে আঁকা রয়েছে নৃত্যরত আদিবাসী তরুণীর প্রতিচ্ছবি। অথবা নোলক পরা কোনো রাজকুমারী, যে তার পোষা পাখিটির সঙ্গে খুঁনসুঁটিতে মেতেছে। আবার হয়তো লাল বা ফিরোজা রঙের ব্লাউজের পেছনের নকশায় বাঙালি বধূর মুখাবয়ব।
এবার বসন্তকে ঘিরে ব্লাউজের ক্ষেত্রে এমনকিছু নকশাই দেখা গেলো বাজার জুড়ে। ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুনকে কেন্দ্র করে হলুদের বিভিন্ন শেড থেকে শুরু করে লেবু রঙ, লাল, মেজেন্টা, সবুজ, হালকা বেগুনি ইত্যাদি রঙের ভেতর তৈরি করা হয়েছে এগুলো। রঙে যেমন রয়েছে বৈচিত্র্য, তেমনি হাতা ও গলার নকশায়ও রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। গোল গলা, হাই নেক, বেন্ড, হাফ হাই, ভি কাট ইত্যাদি রয়েছে গলার কাটের নকশায়। হাতায় রয়েছে মৌসুমী কাট, কুচি, স্লিভ লেস, হাফ স্লিফ, ফুল স্লিভ কাটগুলো।
‘ যাদের শাড়ি কেনার জন্য বাজেট কম থাকে, তাদের কথা মাথায় রেখেই সাধারণত নকশাদার ব্লাউজগুলো তৈরি করি আমরা। সবার তো আর দামি শাড়ি কেনার সক্ষমতা থাকে না। সাশ্রয়ী মূল্যে এক রঙা কোনো শাড়ির সঙ্গে হয়তো নকশা করা একটু গর্জিয়াস ব্লাউজ পরলো। এতে সহজের ভেতর এক ধরনের আভিজাত লুক আসবে,’ বলছিলেন ফ্যাশন হাউজ হরিতকীর সহকারী প্রতিষ্ঠাতা অনিক কুণ্ডু।
বাজার ঘুরে দেখা গেলো ব্লাউজের নকশাগুলোতে রয়েছে হ্যান্ড পেইন্ট, কুশি কাটা, হাতের কাজের নকশা, অ্যামব্রয়ডারি ইত্যাদি কারুকাজ। এগুলো বসন্ত ও ভালোবাসার দিনগুরোতে নিঃসন্দেহে গর্জিয়াস লুক দেবে যেকোনো নারীকেই।
ফ্যাশন হাউজ হরিতকীর সহকারী প্রতিষ্ঠাতা অনিক কুণ্ডু বলেন, ‘ব্লাউজগুলো বিভিন্ন সাইজের তৈরি করা হয়। এমনভাবে তৈরি করা হয়, যেন পরতে আরামবোধ করেন। সুতি, হাফ কটন, হাফ সিল্ক ইত্যাদি কাপড়ে সাধারণত তৈরি করা হয় এগুলো।’ ব্লাউজগুলোর দাম পরবে ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকা পর্যন্ত।