অপরাজিতা অরু
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে করেছে গৌরবান্বিত। আমরা পেয়েছি লাল সবুজের একটি পতাকা। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ।
১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র সারা দেশ সেজে ওঠে লাল সবুজের রঙে। পরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় বাঙালি মেতে ওঠে প্রাণের আয়োজনে। এর অনেকটাই ফুটে ওঠে পোশাকে। তাই বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ফ্যাশন হাউজগুলোতে থাকছে বিজয়ের রঙে বর্ণিল সব পোশাক।
ফ্যাশন আর স্টাইলের সঙ্গে বিজয়ের থিমকে মাথায় রেখে পোশাকে আধিক্য পেয়েছে লাল সবুজের। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, ছাড়াও থাকছে শীতের পোশাকও। যেগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাঁথা, বালাদেশের পতাকা মানচিত্র, বঙ্গবন্ধুর ছবি সহ দেশীয় নানান চিত্র ফুটে উঠেছে। লাল সবুজ ছাড়াও কমলা, হলুদ সহ নানা রঙের পোশাক তৈরি করছে হাউজগুলো। দেশী কাপড় ও ঐতিহ্যের বাহক বিভিন্ন চিত্র যেনো দেশপ্রেমেরই একটা অংশ।
ফ্যাশন হাউজ কে ক্র্যাফট এর সহকারী সাধারণ ব্যবস্থাপক নাসির আহমেদ জানালেন, ফ্যাশন হাউজ কে ক্র্যাফটের এবারের বিজয় ২০২৩ আয়োজন থাকছে, প্রধানত রাগ, ডুডলিং, জিওমেট্রিক, জামদানি, ট্র্যাডিশনাল সহ নানা মোটিফের অনুপ্রেরণায়। এ ছাড়াও থাকছে বাংলাদেশের পতাকা এবং মানচিত্র নিয়ে করা নানা পোশাক। শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি, থ্রিপিস ছাড়াও শীতের চাদরে শোভা পেয়েছে ডিজাইনগুলো।দেশীয় কাপড়ে তৈরি করা এসব পোশাকের দাম থাকছে ১ হাজার ৫০০ থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
বাজার ঘুরে দেখা গেলো, কটন, কোটা কটন, লিনেন, নিট ও তাঁতের মতো আরামদায়ক ফ্যাব্রিকে তৈরি পোশাকগুলোতে নকশা ফুটিয়ে তুলতে , হাতের কাজ, অ্যামব্রয়ডারি ও স্ক্রিনপ্রিন্ট করা হয়েছে। রং হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, গ্রিন, অফ- হোয়াইট, বোটল গ্রিন, ফরেস্ট গ্রিন, পেইল গ্রিন, রেড, অরেঞ্জ। তবে অন্যান্য রঙের সমন্বয়ও থাকছে।
শিশু থেকে তরুণ-তরুণী ও বয়োবৃদ্ধ সবাই দেশীয় চেতনার ছোঁয়ায় পোশাকে রাঙিয়ে তোলেন নিজেদের। শাড়ি কিংবা পাঞ্জাবি যেটাই হোক সবুজ জমিনের একটি পোশাক শুধু বিজয়েই নয়, সারা বছরের পরিধেয় হোক। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও দেশপ্রেম জড়িয়ে থাকুক বছর জুড়ে।