সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
উজ্জ্বলা লিমিটেড, বাংলাদেশের বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিং ইন্ডাস্ট্রিতে উদ্যোক্তা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। উদ্যোক্তাদের যোগ্য করে তুলতে অনলাইন ও অফলাইন ক্লাসের মাধ্যমে বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিংয়ের সব খুঁটিনাটি শেখানো হয় এখানে। উজ্জ্বলায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সংগ্রাম করে সাফল্য অর্জন করেছেন, এমন কয়েকজন নারী ও পুরুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে সাতকাহনের ধারাবাহিক বিশেষ আয়োজনের আজ রইল ১২তম পর্ব।
পর্ব ১২ : আয়শা সিদ্দিকা রফরফ
চট্টগ্রামের মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা রফরফ ২০১৯ সালে উজ্জ্বলাতে প্রশিক্ষণ নিতে আসেন। প্রথমে চট্টগ্রামে ক্লাস করেছেন। পরে ঢাকা গিয়ে ক্লাস করেন। উজ্জ্বলা তাঁকে শিখিয়েছে কীভাবে স্বাবলম্বী হতে হয় এবং সব পরিস্থিতিতে নিজেকে শক্ত রাখতে হয়। বর্তমানে দ্যা পার্ল অ্যান্ড বিউটি নামে একটি স্যালন খুলেছেন তিনি। হয়ে উঠেছেন একজন স্বাবলম্বী উদ্যোক্তা। সংসার ও কাজ দুটো সামলাচ্ছেন দাপটের সঙ্গে।
‘ছোটবেলা থেকে মেকআপ করার প্রতি খুব আগ্রহ ছিলো। মেকআপ করতে খুব পছন্দ করি। চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি থেকে লেখাপড়া শেষ করার পর মনে হচ্ছিলো কী করলে পরিবারকে সময় দিতে পারবো, আবার কাজও করতে পারবো। বিউটিফিকেশনকে আমার জন্য আসলে খুব স্বস্তির জায়গা মনে হয়েছে। এখানে মেয়েদের জন্য কাজ তো করতেই পারবো, পাশাপাশি চাকরি ও পরিবার দুটোকেই ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারবো। মনে হয়েছিলো যেই কাজটা ভালো লাগে, সেই কাজটি করা উচিত। সেই কাজটি করলেই ভালো করা যাবে.’ বলছিলেন আয়শা সিদ্দিকা।
উজ্জ্বলার কোর্সগুলো করার সময় ভেবেছিলাম নিজের একটি প্রতিষ্ঠান দিতে হবে। এই ভাবনা থেকে চট্টগ্রামে স্যালন শুরু করি। স্যালন থেকে মোটামুটি ভালো আয় হয়- জানান তিনি।
স্যালন শুরু করতে এবং প্রশিক্ষণ নিতে আমার স্বামী খুব সহযোগিতা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত তিনিই সবচেয়ে সহযোগিতা করছেন এবং স্যালনটিও তিনি তৈরি করে দিয়েছিন। আমার স্বামী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রফেসর মো. আবুল বাসার। আমার বাবার বাড়ি ও শশুড় বাড়ির মানুষও আমাকে সহযোগিতা করেছে, করছে কাজটি করার জন্য।’
উজ্জ্বলাতে এসে আমি অনেক শিখেছি। সমাজে শক্তভাবে দাঁড়াতে, নিজেকে গড়ে তোলার জন্য ভালো ব্যবহার যে একটি বড় বিষয় সেটি বুঝেছি।। উজ্জ্বলা আমাকে এসব শিখিয়েছে। এই জন্য নিজেকে উজ্জ্বলা মনে করি- জানান আয়শা সিদ্দিকা।
দেশের বাইরে গিয়ে বিউটিফিকেশনের ওপর প্রশিক্ষণ নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজের প্রতিষ্ঠানটিকে আরো সমৃদ্ধ করতে চাই। কাজ দিয়ে আরো পরিচিত হতে চাই সমাজে। কাজ দিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’