সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
পানি পান আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পানি বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দেহকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে কীভাবে এটি পান করা ভালো সেটি কি আমরা জানি? আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, পানির গুণগুলো সঠিকভাবে পেতে হলে কিছু পদ্ধতি মেনে চলা জরুরি। আসুন জানি সেগুলো-
বসে পানি পান করুন
আপনি নিশ্চয়ই এ কথা আগেও শুনেছেন? আসলেই তাই। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনো তরল জাতীয় খাবার দাঁড়িয়ে খেলে দেহের তরলের ভারসাম্য ব্যহত হয়। এ থেকে পরে জয়েন্টের সমস্যা হতে পারে এবং আরথ্রাইটিস হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
সব পানি একসঙ্গে নয়
সম্পূর্ণ গ্লাসের পানি কখনো একসঙ্গে পান করবেন না। অর্ধেক পানি পানের পর অন্তত এক সেকেন্ড বিরতি দিন। একসঙ্গে সবটুকু পান করলে পেট ফোলাভাব হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ধীরে ধীরে বিরতি দিয়ে কাজটি করলে অন্যান্য খাবার হজমেও উপকার হয়।
সরাসরি ফ্রিজের পানি নয়
বাহিরের কাঠফাঁটা রোদ থেকে ঘরে ফিরে এসে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি আপনাকে হয়তো নিমেষেই আরাম দেবে। তবে একদম ফ্রিজ থেকে সরাসরি পানি বের করে পান করা একদমই ঠিক নয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়াতে পারে। আর হালকা গরম পানি সবসময় পান করলে হজম ভালো হয় এবং কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই পানি পান
ঘুম থেকে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই এক গ্লাস পানি পান করে নিন। এতে দেহের বিষাক্ত পদার্থ দূর হবে এবং দেহ আর্দ্রও থাকবে।
শরীর কখন পানি চায় বুঝুন
খসখসে ঠোঁট, শুষ্ক মুখ, প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায় কম পানি পানের লক্ষণ। এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে মনে হলে দ্রুত এক গ্লাস পানি পান করে নিন।
কপার অথবা সিলভারের গ্লাসে পান
সাধারণত আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা কপার বা সিলভারের গ্লাসে পানি পান করতে বলেন। কেন? তাঁদের মতে, এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হজম ভালো হয় এবং ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য হয়।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া