Monday, January 20, 2025
spot_img
Homeমন জানালাপর্নোগ্রাফি আসক্তি বাড়াচ্ছে ডিভোর্স

পর্নোগ্রাফি আসক্তি বাড়াচ্ছে ডিভোর্স

সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
পর্নোগ্রাফি আসক্তি একটি সামাজিক ব্যাধি। সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে শুরু করে এটি ডিভোর্সের মতো অবস্থাও ঘটাচ্ছে সম্পর্কে। পর্নোগ্রাফির সামাজিক প্রভাব নিয়ে সাতকাহন২৪.কমের এক অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন অধ্যাপক সানজিদা শাহরিয়া

প্রশ্ন: পর্নোগ্রাফি আসক্তির সামাজিক প্রভাব কী?
উত্তর : এটিকে একটি শব্দে যদি বলি, তাহলে বলবো মহামারি। করোনা যেমন বিশ্বজুড়ে একটি প্যানডামিক অবস্থা তৈরি করেছে। পর্নোগ্রাফি আসক্তির এই মহামারি বছরের পর বছর ধরে পৃথিবীতে চলছে। একজন মানুষের ইন্টারনেটে যাওয়ার চতুর্থ কারণ এটি। গবেষণায় দেখা গেছে পর্নোগ্রাফির দর্শক নারী-পুরুষ উভয়েই। ৭৪ শতাংশ পুরুষ ও ২৬ শতাংশ নারী পর্ন দেখে। কীভাবে তারা দেখে? ৬১ শতাংশ মোবাইল ফোনে দেখছে। ২৮ শতাংশ স্ক্রিনে দেখছে। ১১ শতাংশ অন্যান্য ছোট-খাটো ডিভাইসে দেখে। তাহলে পর্নোগ্রাফির জায়গাটা মুঠোফোনে চলে এসছে। এখানে একটি বড় অংশ শারীরিক আগ্রাসন দেখাচ্ছে। মনোবিশেষজ্ঞরা দেখেছে, এটি থেকে নারীর প্রতি সহিংস আচরণ শিখছে মানুষ। কারণ, পর্নোগ্রাফিতে নারী সেক্স পার্টনারের প্রতি পুরুষটি এমন আচরণ করছে। এটি ৮৮ শতাংশ। এবং ভারভাল এবিউজ বা বাজে কথা বলা, গালি দেওয়া এই বিষয়গুলো এখান থেকে আসছে। তাহলে মানুষ যখন পর্নোগ্রাফি দেখছি, পুরুষটি কী শিখছে? নারীর প্রতি আমি সহিংস আচরণ প্রদর্শন করি।

পর্ন দেখার কারণে ২০০২ সালে ৬৮ ভাগ ডিভোর্স হতো। ৫৬ শতাংশের ক্ষেত্রে এমন ছিলো যে এটা ছাড়া চলতেই পারবে না। তাহলে দুটো সংখ্যাই শতকরা ৫০ ভাগের বেশি। ২০২০ এ করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে এই হার অনেক। পর্নোগ্রাফি আসক্তি নিয়ে যারা কাউন্সিলরের কাছে আসছেন, তাদের একটি বড় অংশের পারিবারিক সম্পর্ক নেই। এদের বড় অংশ চাকরিহারা হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন। মূলত এর একটি বিশাল মনোসামাজিক প্রভাব রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments