সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রস্রাব ঝরা বা প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা নারী দেহের একটি প্রচলিত সমস্যা। একে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ফিমেল ইউরিনারি ইনকনটিনেন্স বলে। গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন বয়সের নারী এ সমস্যা ভোগেন। তবে অনেকেই লজ্জার কারণে চিকিৎসা থেকে পিছিয়ে যান।
ধরন ও কারণ
# স্ট্রেস ইনকনটিনেন্স
কোনো কারণে তলপেটে চাপ বাড়লে প্রস্রাব ঝরতে পারে। যেমন : হাঁচি, কাশি, হাসি, লাফঝাঁপ, ভারী কিছু তোলা ইত্যাদি। সাধারণত মধ্যবয়সী নারী, যাদের একাধিক সন্তান রয়েছে, তাদের পেলভিক ফ্লোর মাসল দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে প্রস্রাব ধরে রাখতে সমস্যা হয়। এ ছাড়া মেনোপজ-পরবর্তী সময়ে বয়স্ক নারীর হরমোন কমে যাওয়ার কারণে এসব মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এতে প্রস্রাব ধরে রাখতে সমস্যা হয়।
# আর্জ ইনকনটিনেন্স
প্রস্রাবের তীব্র চাপ, যা আটকে রাখা যায় না এবং টয়লেটে যাওয়ার আগেই কাপড় ভিজে যায়। এ জন্য রোগী ঘন ঘন টয়লেটে যেতে বাধ্য হয়।
মূত্রথলির স্নায়বিক সমস্যার কারণে অল্প প্রস্রাব জমলেই তীব্র চাপ হয়, যা আটকে রাখতে অসুবিধা হয়। অল্প ও মাঝবয়সী নারীরা এ সমস্যায় বেশি ভোগেন।
# মিক্সড ইনকনটিনেন্স
স্ট্রেস ও আর্জ দুই প্রকার লক্ষণই এর মধ্যে মিলিতভাবে থাকে। কারও মধ্যে দুটোর যেকোনো একটি বেশি থাকে। যে লক্ষণটি বেশি প্রকট, তার চিকিৎসা করা হয়।
# টোটাল ইনকনটিনেন্স
এ রোগে প্রস্রাবে কোনো চাপ থাকে না, সারাক্ষণই প্রস্রাব ঝরতে থাকে। এর প্রধান কারণ মূত্রথলি ও যোনীপথের মাঝখানের ফিস্টুলা। প্রসবজনিত বা পেলভিক অপারেশন-পরবর্তী জটিলতার কারণে এ সমস্যা হতে পারে। ফিস্টুলার আকার ছোট হলে অল্প প্রস্রাব ঝরবে, আকার বড় হলে বেশি ঝরবে।
এ ধরনের রোগ লোকলজ্জার জন্য সঠিক চিকিৎসা পায় না। তবে এসব রোগের সুচিকিৎসা রয়েছে। তাই সচেতন হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সূত্র : ওয়েবএমডি