সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
কারণ যাই হোক না কেন, নারীর অরগাজম বা যৌনতৃপ্তির বিষয়টি সমাজে যেন একটি ট্যাবু। সমাজে পুরুষের যৌনতৃপ্তি নিয়ে কথা বলাটা যতটা সহজ নারীর যৌনস্বাস্থ্য যেন ততটাই উপেক্ষিত।
তবে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, শরীর ও মনের যত্নে মেয়েদেরও অরগাজম জরুরি। নারীর অরগাজমের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ডক্টরপিডি।
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিউরোসাইনটিস্ট ও সেক্স থেরাপিস্ট ডা. নান ওয়াইসের করা একটি গবেষণায় দেখা যায়, অরগাজমের সময় মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন অন্যান্য সময়ের তুলনায় ভালো হয়, বিশেষ করে উত্তেজনার চরমে থাকা অবস্থায়। রক্ত ভালোভাবে প্রবাহিত হওয়ার কারণে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে এবং মস্তিষ্ক আরো ভালোভাবে কাজ করে।
ঘুম ভালো হয়
শরীর শিথিল থাকলে যেমন অক্সিটসিন, এন্ড্রোফিন ইত্যাদি হরমোন বের হয়, তেমনি অরগাজমের সময়ও হয়। এই দুই হরমোন ঘুম ভালো করতে উপকারী। বিশেষ করে, যারা মানসিক চাপ ও উদ্বেগে ভোগেন, তাদের জন্য। এ ছাড়া অরগাজমের পর প্রোল্যাকটিন নামক আরেকটি হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি গভীর ঘুমের জন্য জরুরি।
মানসিক চাপ কমায়
সহবাসের সময় অক্সিটোসিন হরমোন বের হয়। এই হরমোন মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমায়। পাশাপাশি মানসিক চাপের জন্য হওয়া লো প্রেশার প্রতিরোধেও উপকারী।

গর্ভধারণের প্রবণতা বাড়ায়
নিয়মিত সহবাসে গর্ভধারণের প্রবণতা বাড়ে। গবেষণায় বলা হয়, নারীর অরগাজমের সময়, বিশেষ করে যৌনতৃপ্তির শীর্ষে থাকা অবস্থায় পুরুষ সঙ্গীটিরও স্পার্ম দ্রুত নিঃসরণ হয়।
ব্যথা কমায়
দেহের বিভিন্ন ব্যথা কমাতে, বিশেষ করে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে অরগাজম বেশ জরুরি- এমনটাই মতামত বিশেষজ্ঞদের।
অকাল বার্ধক্য রোধ করে
২০০৯ সালে করা একটি গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, সহবাস করলে নারীর দেহে ইসট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বাড়ে। ত্বকের নমনীয়তা বাড়িয়ে এই হরমোন অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধে কাজ করে।