Sunday, May 28, 2023
Homeস্বাস্থ্যকাহনরোাগব্যাধিদেহে পানিশূন্যতা হচ্ছে, কীভাবে বুঝবেন?

দেহে পানিশূন্যতা হচ্ছে, কীভাবে বুঝবেন?

সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক

শীতের হাড় কাঁপানো থুরথুরে বুড়োর এখন বিদায়। বসন্তের আগমনী গান শুনছি চারদিকে। তবে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে
আবহাওয়ার মেজাজ বোঝা কিন্তু রীতিমত মুশকিল। বসন্তের সময়ও গরমের পারদ উঠতির দিকে। এমন পরিবেশে শরীর সহজে হয়ে পড়ে পানিশূন্য।

পানিশূন্যতার বৈজ্ঞানিক নাম ডিহাইড্রেশন। সহজ কথায়, যতটা পানি বা তরল খাওয়া হয় তার চেয়ে বেশি বের হয়ে গেলেই হয় ডিহাইড্রেশন। প্রস্রাব ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম, বমি বা ডায়রিয়া থেকে এই সমস্যা হতে পারে।

কাদের ঝুঁকি বেশি?

শিশু, প্রবীণ, যারা ক্রনিক ডিজিজ (ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ) ইত্যাদিতে ভোগেন, যারা রোদে কায়িক পরিশ্রম করেন তাদের এ সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

কীভাবে বুঝবেন?

বিভিন্ন বয়েসে পানিশূন্যতার লক্ষণ বিভিন্ন রকম।

# শিশুদের ক্ষেত্রে ঠোঁট ও জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া, চোখ ও গাল গর্তে বসে যাওয়া, কান্নার সময়ে চোখের পানি না ঝরা, তিন ঘণ্টার বেশি ডায়াপার শুকনো থাকা, নেতিয়ে পড়া ও খিটখিটে ভাব ইত্যাদি।

# প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে তীব্র তৃষ্ণা, দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে অল্প বা গাঢ় রঙের প্রস্রাব হওয়া, ক্লান্তভাব, মাথা ঝিমঝিম করা, বিভ্রান্ত বোধ করা পানিশূণ্যতার লক্ষণ।

কীভাবে ঠেকাবেন?

প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক দুই থেকে দুই দশমিক পাঁচ লিটার বা আট থেকে ১০ গ্লাস এবং শিশুদের এক থেকে এক দশমিক পাঁচ লিটার বা চার থেকে ছয় গ্লাস পানি পান করতে হবে। যারা কিডনির রোগে ভুগছেন, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পান করবেন। এ ছাড়া তৃষ্ণা পেলে পানি পান করুন অথবা রসাল ফল ও সবজি খান।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

১. ২৪ ঘণ্টার বেশি ডায়রিয়া
২. খিটখিটে মেজাজ, বিভ্রান্তিকর আচরণ, স্বাভাবিকের তুলনায় নিস্তেজভাব
৩. পানি বা তরল খেলেই বমি
৪. রক্তমাখা বা কালো পায়খানা

সূত্র : মায়ো ক্লিনিক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments