শারমিন কচি
পাঁচ দিনে পাঁচ রকম সাজে যারা পূজার উৎসবে যোগ দিতে চাচ্ছেন, তারা ঘুরেফিরে একই রূপে না থেকে সাজুন ভিন্ন ভিন্ন ধাঁচে। এক দিনের সাজ থেকে আলাদা থাকুক অন্য দিনের সাজটা। রঙ হোক, হোক পোশাকের উপাদান কিংবা মুখের সাজ, ভিন্নতার ছোঁয়া থাকা চাই সব কয়টা দিন।
ষষ্টীর সাজ
হালকা সাজে কাটাতে পারেন এই দিনটি। পোশাকের ক্ষেত্রে পছন্দ মতো রঙের তাঁতের শাড়ি বেছে নিতে পারেন । উজ্জ্বল, তবে মিষ্টি রঙ প্রাধান্য পাবে এই সময়। শরতের ঝকঝকে আসমানি রঙের শাড়িতে জড়াতে পারেন নিজেকে। অথবা নরম সুতি বা জর্জেট রাখতে পারেন বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে। এই শাড়ির সাথে সাদা মুক্তোরমালা, চুলে বেলি বা চাঁপাফুল আর হাতে এলোমেলো চুড়ির দল, দারুণ মানাবে আপনার ষষ্টীর সাজে।
সপ্তমীর সাজ
উজ্জ্বল কোনো রঙ বাছুন শাড়িতে। হতে পারে সেটি সবুজ, টিয়া, কমলা বা লালচে কোনো রঙ। এক রঙের শাড়ি আর প্রিন্টের বা লেইস বসানো ব্লাউজ পরা যায় দিনটিতে। আগের দিন খোঁপা হলে সেদিন বেণি চলবে, কিংবা ছেড়ে দেওয়া চুলেই এক পাশে ফুল গুঁজে দিন। কানে বড় ঝোলা দুল আর হাতে চুড়ি, গলা না হয় খালিই থাকুক। সপ্তমীতে ঘুরে বেড়ানো হলে গয়না হালকা রাখাই ভালো।
অষ্টমীর সাজ
ছাই, গাঢ় নীল, বেগুনি কিংবা বাদামি রঙের পোশাক পরতে পারেন এই দিনে। সঙ্গে ভিন্নমাত্রা আনতে পরতে পারেন সাবেকী গয়না। চুল পরিপাটি করে বেঁধে রাখুন। গয়না পরতে পারেন চুলেও; ঝুমকো দেয়া কাঁটা বেশ মানাবে। সঙ্গে নাকফুল বা নথ আরো নজরকাড়া করবে আপনাকে।
নবমীর সাজ
হালকা গোলাপি জামদানিটা পরে ফেলুন নবমীতেই। কিংবা মেরুন রঙের সিল্কের শাড়িটা। ভারী গয়না আর সাজে আভিজাত্য নিয়ে আসুন নবমী উপলক্ষে। একপাশে সিঁথি টেনে এলোখোঁপা মানিয়ে যাবে, তাতে পাথরের অনুষঙ্গ জমকালোভাব যোগ করবে আরো।
বিজয়া দশমীর সাজ
দেবী বিদায়ের পালা এলে মনে আনন্দের সঙ্গে কষ্টও থেকে যায়। তার মাঝেই চলে উৎসবের সমাপনী আয়োজন। এই দিনে সাবেকী লাল পেড়ে সাদা শাড়িই চলুক। সঙ্গে জরির আরেকটা পাড় যোগ হলে আরো দারুণ দেখাবে শাড়িটা। হালকা সোনার গয়না মানানসই বিসর্জনের দিন সাজে। চুল খোলাই রাখুন, কাজল আর লাল টিপ মন্দ দেখাবে না।
লেখক
রূপবিশেষজ্ঞ
কর্ণধার, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ার