শাশ্বতী মাথিন
ত্বকের যত্ন বা রূপচর্চা যাই বলি না কেন পরিচ্ছন্নতা বা ক্লিনজিং হলো প্রথম ধাপ। এই পরিচ্ছন্নতার রুটিন সঠিকভাবে মানছেন তো?
ত্বক ভালো রাখতে পরিষ্কার জরুরি- কথাটি সবার জানা। তবে পরিষ্কারেরও কিছু নিয়ম রয়েছে। ভুলভাল পরিষ্কার করলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি। ত্বক সঠিকভাবে পরিষ্কারের কিছু নিয়ম জানিয়েছেন শিওরসেল মেডিকেল বিডি-এর প্রধান ডার্মাটোলজিস্ট ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন। তাঁর পরামর্শ মতে,
১. গরমের এই সময়ে তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে ঘাম বাড়ে। তৈলগ্রন্থি (ওয়েল গ্ল্যান্ড) বেশি পরিমাণ তেল নিঃসরণ করে। পাশাপাশি ময়লা-ধুলা, মেকআপের অবশিষ্ট অংশ তো থাকেই। তাই অনেকে গরম থেকে স্বস্তি পেতে বার বার মুখ ধোয়। মুখ ধুতে হবে, তবে সেটি নিয়ম করে এবং নির্দিষ্ট সময় ধরে।
২. ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেস ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে।
অনেকে ভুল করে ক্ষারযুক্ত ফেসওয়াস বা সাবান ব্যবহার করে এবং তিন/ চার বার মুখ ধোয়। এতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আর্দ্রতা হারায়; ত্বকের উপকারী ব্যকটেরিয়া ফ্লোরা নষ্ট হয়। ফেস ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুই বার মুখ ধুতে হবে। বাকি সময় মুখ ধুতে হলে সাধারণ পানির ঝাপটা দিবে।
৩. ফেস ক্লিনজার এমন হবে যেটি একই সঙ্গে অতিরিক্ত তেল, মেকআপ, ময়লা, ধুলো সরিয়ে ফেলবে। পাশাপাশি পোরকে পরিষ্কার করবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে।
৪. আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের ত্বক তৈলাক্ত। এদের জন্য যে ধরনের ফেসওয়াস বাজারে পাওয়া যায়, তা ত্বক শুষ্ক করে ফেলে। এ জন্য ক্যামোমাইল নির্যাসযুক্ত ফেসওয়াস ব্যবহার করা যেতে পারে। এর সঙ্গে স্টিয়ারিক এসিড ও মেন্ডালিক এসিড থাকলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সাহায্য করবে।
৫. অনেকে দেখা যায়, ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধুলো আর পানির ঝাপটা দিলো। এটি ভুল। মুখ ধোয়ার সময় প্রথমে হাত পরিষ্কার করতে হবে। নোংরা হাত দিয়ে ধুলে জীবাণুর সংক্রমণ বাড়তে পারে। ত্বকে ব্রণ- র্যাশ হয়।
৬. মুখে পানি দিয়ে পরিমাণমতো ফেস ক্লিনজার হাতে নিয়ে এক মিনিট ধরে ম্যাসাজ করতে হবে। পরে পানি দিয়ে ভালোমতো ধুয়ে ফেলবে। ফেস ক্লিনজারের অবশিষ্ট অংশ যেন মুখে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে ভালো। এরপর নরম কাপড় বা ফেস টাওয়াল দিয়ে আলতো করে মুখ মুছবে।