সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে শীতলতম মাস হিসেবে জানুয়ারিকেই ধরা হয়। এ বছরের জানুয়ারিতে দেশে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে- এমনটাই আশঙ্কা আবহাওয়া অধিদপ্তরের। আর এর প্রভাবও গত কয়েকদিন ধরে টের পাচ্ছে গোটা দেশ। হাড় কাঁপুনে এই শীতে জুবুথুবু হয়ে পড়ছে মানুষ, থমকে যাচ্ছে জনজীবন। নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, সোরিয়াসিস ইত্যাদি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে।
‘শৈত্য প্রবাহ বা তীব্র শীতে মানব দেহে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। যাদের আগে থেকেই শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা ( যেমন : অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস) রয়েছে তাদের সমস্যাটি বাড়তে পারে। বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণরা এ ধরনের সমস্যায় বেশি ভোগে। টনসিলাইটিস, গলাব্যথা, নাক দিয়ে পানি ঝড়ার মতো সমস্যাগুলো হয়’, বলছিলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ডিন ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।
তীব্র শীতে দেহের রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এ থেকে হাড় ও মাংসে জড়তা তৈরি হয়। অনেকের মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, হৃদরোগ হতে পারে। প্রবীণদের বাত জনিত সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন চর্মরোগ (যেমন: সোরিয়াসিস, খুশকি) বাড়ে।
তীব্র শীতে সুস্থ থাকতে করণীয় বিষয়ে ডা. আব্দুল্লাহ জানান, অযথা ঘরের বাইরে বের হবেন না। বাইরে গেলেও পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরতে হবে। মাথা, কান, গলা ভালোমতো ঢাকতে হবে। ঘর উষ্ণ রাখতে রুম হিটার ব্যবহার করতে পারেন। খাওয়া ও গোসলের ক্ষেত্রে অবশ্যই ঈষদুষ্ণ গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। যাদের অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত প্রতিরোধমূলক ওষুধ সেবন করবেন।’
বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। নিউমোনিয়া প্রতিরোধে শিশুর প্রতি ভীষণভাবে খেয়াল রাখতে হবে। পর্যপ্ত পরিমাণ গরম কাপড় দিয়ে শরীর ঢেকে রাখতে হবে। শীতে অনেকেই আগুণ জ্বালিয়ে তাপ পোহায়। এ আগুণ থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। সুতরাং এ বিষয়েও খেয়াল রাখা জরুরি। এমনটাই পরামর্শ দিলেন ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।