সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
এডিস মশাবাহিত ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এর দুটি ধরন রয়েছে। সাধারণ ও রক্তপাতসহ জ্বর। হঠাৎ তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরে ব্যথা, বমি বা বমি বমি ভাব এর লক্ষণ। এ ছাড়া জ্বর সেরে যাওয়ার পর গায়ে র্যাশ বা লালচে দানা দেখা দেয়।
ডেঙ্গু মশা সাধারণত জমানো পানি, অপরিষ্কার জায়গা, ফুলের টব ইত্যাদিতে বেশি বিস্তার করে। যেহেতু এই রোগটি কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুঘাতী, তাই এর প্রতিরোধে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ফার্মাইজি।
১. ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশা সাধারণত দীর্ঘদিন ধরে জমিয়ে রাখা পানি থেকে জন্মায়। তাই খেয়াল রাখুন বালতি, টব গাড়ির টায়ার, প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসাতে পানি জমে রয়েছে কি না। থাকলে দ্রুত পরিষ্কার করুন। যেই পাত্রের পানি ফেলে দেওয়া যায় না, সেখানে লবণ ও ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। এতে মশা কমবে।
২. বাসা-বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখুন। বাড়ির চারদিকের ঝোপ, জলাশয়, জঙ্গল পরিষ্কার করুন।
৩. নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের গর্ত, ড্রাম, ইট ভেজানোর চৌবাচ্চা ইত্যাদি জায়গায় পানি জমে রয়েছে কি না খেয়াল করুন। এসব জায়গায় ডেঙ্গু মশা দ্রুত বিস্তার ঘটায়।
৪. জমে থাকা বৃষ্টির পানি থেকে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি হয়। তাই মশা তাড়াতে বৃষ্টির পানি দ্রুত পরিষ্কার করুন।
৫. মশা প্রতিরোধে অবশ্যই নিয়মিত মশারি ঝুলানোর অভ্যাস করতে হবে। জানালায় নেট লাগাতে পারেন।
৬. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা প্রতিরোধী ক্রিমও ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে মশার বিস্তার রোধ করা জরুরি। এ জন্য পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে এবং ছোট ছোট কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। তাহলে আপনি নিজেও সুস্থ থাকবেন, পরিবারের অন্যান্যদেরও সুস্থ রাখতে পারবেন।