সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ে। এই জ্বর হলে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। শরীরে শক্তি দেবে এবং দ্রুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এমন খাবারই খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। না হলে পানিশূন্য ও রক্তশূন্য হয়ে দেহ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে স্বাস্থ্যকর খাবারের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী :
# ডেঙ্গু জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খেতে হবে। পাকা পেঁপে, মাল্টা, আপেল, কমলা, আনারস ইত্যাদি ফল ও ফলের রস খাদ্যতালিকায় থাকতে হবে।
# এ সময় অনেকের দেহে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। এ সমস্যা এড়াতে ডাবের পানি পান করতে পারেন।
# জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণ তরল ও তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে পালং শাক, ব্রকলি, গাজর ইত্যাদির স্যুপ খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। এ ছাড়া বাসায় তৈরি করা ছোট মুরগির স্যুপও ভালো হবে। এর মধ্যে লেবুর রস যোগ করতে পারেন। এতে ভিটামিন সি-ও পাওয়া গেল।
# জ্বর হলে অনেকেরই মুখে রুচি কমে যায়। রুচি ফিরিয়ে আনতে ধনেপাতার চাটনি, পুদিনা পাতার ভর্তা ইত্যাদি খেতে পারেন।
# চা, কফি এ সময় পানিশূন্যতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব খাবার এড়িয়ে আদা চা, দারুচিনি চা, সব মসলার মিশ্রণে চা, লেবু চা পান করতে পারেন। এ ধরনের চায়ের মধ্যে প্রদাহরোধী ও ব্যথানাশক উপাদান রয়েছে। এতে ব্যথা কমবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
# সহজে হজম হবে এমন খাবারই এ সময়ের খাদ্যতালিকায় রাখবেন। যেমন : জাও ভাত, সাগু, পেঁপে, শিং মাছের ঝোল ইত্যাদি।
# হজমের সমস্যা না হলে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই দুধ রাখতে পারেন। এটি দেহের পুষ্টির চাহিদা অনেকটাই মেটাতে সাহায্য করবে।
# জ্বর সেরে গেলে বা হাসপাতাল থেকে ফেরার পরও খাবার-দাবারের বিষয়ে অসতর্ক হওয়া যাবে না। এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাদ্যতালিকায় প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই রাখতে হবে। যেমন : কলিজা, ডিম, মাশরুম, ডাল ও বিচিজাতীয় খাবার ইত্যাদি।
# এ সময় আয়রনজাতীয় খাবার খাওয়াও জরুরি। যেমন: গাঢ় সবুজ শাক, আনার, খেজুর ইত্যাদি।
# জ্বর হলে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা যাবে না। এতে শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। একটু পরপর হলেও কিছু খেয়ে ক্যালরি বাড়াতে হবে।