সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
রক্তে সুগারের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে একে ডায়াবেটিস বলে। আর স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কের জটিল রোগ। এটি হলে মস্তিষ্কের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ডায়াবেটিসের সঙ্গে স্ট্রোকের সম্পর্ক রয়েছে। আসলে ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে কেন? এ বিষয়ে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের রেসিডেন্ট ইন কার্ডিওলজি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্জয় শীল জানান, ডায়াবেটিস অনেক দিন অনিয়ন্ত্রিত থাকলে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ডের রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রক্তনালি সরু হয়ে রক্ত চলাচল কমে যায়। তখনই হার্ট অ্যাটাক, ব্রেইন স্ট্রোকের মতো ঘটনা ঘটে।
এটি নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে ডা. সঞ্জয় শীল বলেন, ‘ডায়াবেটিস হলে অবশ্যই রক্তের শর্করা বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণের উপায়ের অন্যতম হলো খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা। ডাক্তার নির্দেশিত ডায়েট চার্ট মেনে চলতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট জোরে হাঁটা জরুরি এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ বা ইনসুলিন নেবেন।’
এ ছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাদা কিংবা প্রক্রিয়াজাত চালের ভাত, প্রক্রিয়াজাত আটা, চিনি, আলু, কলা, পাকা পেঁপে, গাজর ইত্যাদি খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। সময়মতো এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নেওয়াও জরুরি।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় প্রসঙ্গে ডা. সঞ্জয় শীল আরও বলেন, ‘অনুমোদিত গ্লুকোমিটারের সাহায্যে বাসায় সকালে খালি পেটে এবং খাবারের দুই ঘণ্টা পর ব্লাড সুগার মাপতে হবে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে না থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাবেন।’
পাশাপাশি নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় পরপর চোখ, কিডনি, হার্টের পরীক্ষা করতে হবে। যেন কোনো সমস্যা হলে আগেই বোঝা যায়। কারণ, এসব অঙ্গ ডায়াবেটিস রোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির স্লোগান 3D (Diet, Discipline, Drug)— এই তিনিটি জিনিস মেনে চললে ডায়াবেটিস রোগীর পক্ষে প্রায় সারাজীবন স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব বলে জানান এই চিকিৎসক।