ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল
ঠান্ডা লাগলে গলায় খুসখুস ভাব, নাক-চোখ দিয়ে পানি পড়া, মাথা ভার হয়ে থাকা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেবেই। সাধারণ সর্দি-কাশিতে এক সপ্তাহ পুরো অস্বস্তিতে থাকতে হয়। ওষুধপত্রে তেমন একটা কাজ হয় না। কারণ, ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করার মতো কার্যকর ওষুধ খুব একটা নেই। ঠান্ডা কিংবা সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।
১. কাশি ও সর্দিতে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরে থাকুন
কাশি কিংবা সর্দি থেকে জীবাণুগুলো বাতাসে ভর করে ছোটে। এর একটি আপনার চোখে কিংবা নাকে এসে পড়লে কয়েক দিনের মধ্যেই আপনি আক্রান্ত হবেন কাশি বা সর্দিতে।
২. বারবার হাত ধোন
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঠান্ডা ছড়ায় পরোক্ষ শারীরিক সংস্পর্শে। অর্থাৎ একজন অসুস্থ ব্যক্তির ঠান্ডার জীবাণু নাক থেকে হাতে স্থানান্তরিত হয়। সে যখন কোনো ব্যক্তিকে স্পর্শ করে তখন হাত থেকে জীবাণু অন্য ব্যক্তির গায়ে লেগে যায়।
৩. বেশি করে তরল পান করুন
বেশি তরল পান করলে শরীর থেকে জীবাণু দূরীভূত হবে এবং শরীরে জীবাণু আক্রান্ত হওয়ার জন্য যে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয় তাও পূরণ হবে। এ সময় দৈনিক কমপক্ষে আট গ্লাস পানি, ফলের রস কিংবা অন্যান্য ক্যাফিনমুক্ত তরল খাওয়া প্রয়োজন।
৪. নাক ও চোখ বেশি বেশি ঘষবেন না
এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ প্রতি এক ঘণ্টায় তার নাক ও চোখ অন্তত তিনবার স্পর্শ করে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি আপনার এ রকম করতেই হয় তাহলে দয়া করে আঙুলের মাথা দিয়ে চোখ ও নাক ঘষবেন না।
৫. ভিটামিন ই ও সি খান
ভিটামিন ই দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু চর্বি ও তেলজাতীয় খাবারে এটা বেশি থাকে বলে যারা স্বল্প চর্বিযুক্ত খাবারে অভ্যস্ত তারা ভিটামিন ই খুব একটা বেশি পান না। তাই চিকিৎকের পরামর্শ নিয়ে প্রতিদিন ১শ থেকে ২শ আইইউ সমৃদ্ধ ভিটামিন ই ট্যাবলেট খেতে পারেন। এ ছাড়া খেতে হবে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার। পেয়ারা, মাল্টা, কমলা, জলপাই, আমলকী ইত্যাদিতে ভিটামিন সি পাওয়া যাবে।
লেখক :
উপাধ্যক্ষ ও সহযোগী অধ্যাপক
অর্থোপেডিকস ও ট্রমাটোলজি বিভাগ
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল