সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
আপনি কি এমন কাউকে চেনেন যার আচরণের কারণে তাকে বেশ অস্থিতিশীল, জটিল-কঠিন, দ্বন্দ্বময় মনে হয়? অথবা এমন কেউ যিনি আপনি বা আপনার চারপাশের মানুষের সঙ্গে খুব ছোট ছোট বিষয়েও মিথ্যা বলে? আবার আপনাকে সবসময় নিচু প্রমাণ করতে স্বস্তিবোধ করে? তাহলে আপনি একজন টক্সিক বা বিষময় মানুষের সঙ্গে মিশছেন।
এ ধরনের মানুষ অন্যকে আঘাত দিয়ে, সূক্ষ্মভাবে ব্যবহার করে, দ্বন্দ্বের ভেতর ফেলে, সারাক্ষণ অন্যের সমালোচনা করে নিজের মানসিক প্রশান্তি খুঁজে নেয়। এই প্রশান্তি তাদের মানসিক খাদ্য। নিজেদের নেতিবাচক আচরণ দিয়ে অন্যের জীবনকে নরকে পরিণত করতে এদের জুড়ি নেই।
পরিবার, কর্মক্ষেত্র, সমাজ বিভিন্ন জায়গাতেই টক্সিক মানুষের দেখা মেলে। জীবন থেকে এদের ঝেটে বিদায় করে দিতে পারলেই ভালো। তবে কখনো কখনো কাজের কারণে হয়তো যোগাযোগ রাখতেই হয়। নিজের মানসিক শান্তি বজায় রেখে এদের সামলানোর কিছু উপায় জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি।
প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না
আপনি অশান্তিতে থাকলে এদের শান্তি মিলবে। আপনাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করার জন্য হয়তো এহেন কোনো গালি-গালাজ, মিথ্যা অপবাদ নেই যা সে দেবে না। আর এতে কষ্ট পাওয়া, মন খারাপ হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। তবে একটু থামুন। নিজেকে শান্ত করুন। সেই মানুষটির ফাঁদে পা দেবেন না। ভাবুন, সে তো চাইছেই আপনাকে কষ্ট দিয়ে তার মানসিক শান্তি রক্ষা করতে। তাহলে আপনি কেন ওই মানুষটির ফাঁদে পা দিয়ে তাকে জিতিয়ে দেবেন। ফাঁদে পা দিতে না চাইলে তার কোনো আচরণেই প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না।
দেয়াল তৈরি করুন
তার সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে হলে বা কাজ সম্পর্কিত কোনো বিষয় থাকলে এক বা দুই শব্দের মধ্যে শেষ করুন। যেমন : হ্যাঁ, ঠিক আছে, চাইছি না ইত্যাদি। মোদ্দাকথা, তার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি বাউন্ডারি বা দেয়াল তৈরি করে ফেলুন, যেন আপনার ব্যক্তিগত জীবনে সে আর কোনোভাবেই প্রবেশের সুযোগ না পায়।
যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ করুন
এসব কিছুর পরও সে আপনার সঙ্গে একই রকম আচরণ করতে থাকলে, কষ্ট হলেও নিজের জীবন থেকে চিরতরে এ ধরনের মানুষ বিদায় করে দিন। সম্পূর্ণভাবে এদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করুন। এসব কাজগুলোই আপনাকে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।