সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
জরায়ুমুখের ক্যানসার সচেতনতা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে মার্চ ফর মাদার মোর্চা ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির যৌথ উদ্যোগে সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ে ১৪ জানুয়ারি, শনিবার পদযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় অংশ নেন অধ্যাপক ডা. হালিদা খানুম আক্তার (শিক্ষক, জন হপকিনস ইউনিভার্সিটি), অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন (প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, গাইনি অনকোলজি বিভাগ, বিএসএমএমইউ), অধ্যাপক ডা. লতিফা শামসুদ্দিন (প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, গাইনি বিভাগ, বিএসএমএমইউ), অধ্যাপক ডা. সারিয়া তাসনিম (সাবেক নির্বাহী পরিচালক, মা ও শিশু স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট, মাতুয়াইল, ঢাকা), মোরসালিন নোমানি (সভাপতি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি), অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক (সাবেক উপদেষ্টা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা), মাইনুল হাসান সোহেল (ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক), কাওসার আজম (ডিআরইউ দপ্তর সম্পাদক)
প্রমুখ।
বর্ষীয়ান স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক টি এ চৌধুরী জননীর জন্য পদযাত্রা উদ্বোধন করেন এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সাবেক সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য আবুল কালাম আজাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। তিনি সাবেক অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ক্যানসার ইপিডেমিওলোজি বিভাগ, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী, জননীর জন্য পদযাত্রা। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর বাংলাদেশে আট হাজারের বেশি নারী জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়, মারা যায় প্রায় পাঁচ হাজার। ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারের পরেই এর স্থান। এটা দায়িত্বপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসি’র হিসেব। জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিবন্ধন প্রতিবেদন অনুযায়ী নারীদের দ্বিতীয় প্রধান ক্যানসার এটি।’
অথচ জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব জানিয়ে ডা. রাসকিন বলেন, ‘প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া সম্ভব। প্রাথমিক প্রতিরোধের জন্য এইচপিভি নামের দুষ্টু ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকাদান, বাল্যবিবাহ বন্ধ করা এবং এই ক্যানসারের ঝুঁকি ও প্রতিরোধ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা দরকার। এর কোনো কার্যকর জাতীয় কর্মসূচি এখনও নেওয়া হয়নি। প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয়ের জন্য ক্যানসার স্ক্রিনিং-এ নারীদের উদ্বুদ্ধ করা এবং স্ক্রিনিং-এর সংগঠিত ও সমাজভিত্তিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া খুব জরুরি।’