সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
চোখের ছোঁয়াচে এক রোগের নাম কনজাংটিভাইটিস। অনেকে একে চোখ ওঠাও বলেন। সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এই রোগ হয়। চোখের সাদা অংশের ওপর একটি পর্দা বা কাভার থাকে। একে খালি চোখে দেখা যায় না। এই অংশে সংক্রমণই কনজাংটিভাইটিস।
এই রোগ হলে চোখে বার বার পানির ঝাপটা দিতে হবে- এমন একটি ধারণা বেশ প্রচলিত। তবে আসলেই কি এটি ঠিক? জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. মো. ফরহাদ বিন সিদ্দিক বলেন, ‘বিষয়টি একেবারেই ভুল। এতে উল্টো চোখের ক্ষতি হয়। কারণ, পানিতে নানা ধরনের জীবাণু থাকতে পারে। এতে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি এবং উপসর্গগুলোও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।’
সাধারণত যাদের ঠান্ডা বা অ্যালার্জির প্রবণতা রয়েছে, তাদের এই সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়। চোখ লাল হওয়া, পানি পড়া, ময়লা জমা, খচ খচ করা, ব্যথা হওয়া, ফুলে যাওয়া ও ব্যথার সঙ্গে জ্বর ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। কখনো কখনো উপসর্গ এমনিতেই কমে আসতে পারে। তবে দুই থেকে তিন দিনের বেশি হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
‘রোগ নিরাময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ও ওয়েনমেন্ট ব্যবহার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই রোদে যাওয়া যাবে না। আর যেতে হলে অবশ্যই রোদ চশমা ব্যবহার করবেন। চোখ দিয়ে পানি এলে টিস্যু একবার ব্যবহার করে ফেলে দিন। রোগটি যেন অন্যদের মাঝে না ছড়ায় তাই মানুষের ভিড় এড়ানোই ভালো’, বলেন ডা. মো. ফরহাদ।
এ ছাড়া অনেকে অপচিকিৎসা করে গাছ-গাছরার রস, মধু দেন জানিয়ে ডা. মো. ফরহাদ বলেন, ‘এগুলো চোখের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। ‘
তাই এই ধরনের সমস্যায় অপচিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে জানান এই চিকিৎসক।