শাশ্বতী মাথিন
হিম হিম শীতের বিকেলে এক বাটি চিনাবাদাম খাওয়া স্ন্যাকসের চাহিদা বেশ ভালোভাবে পূরণ করে। তবে অতিরিক্ত চিনাবাদাম খাওয়া অস্বস্তি বাড়ায়। পুষ্টিকর হওয়ার পরও এই বাদাম বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। তাই এর পুষ্টি ভরপুরভাবে পেতে পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। প্রতিদিন কতটুকু চিনাবাদাম খাওয়া ভালো, এ বিষয়ে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
চিনাবাদামে রয়েছে প্রোটিন, চর্বি, আঁশ ও অন্যান্য পুষ্টি। এর মধ্যে থাকা চর্বি দেহের ভেতরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এতে আরও রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, কপার। এসব পুষ্টির কারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় চিনাবাদাম রাখা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুষ্টির চাহিদা পূরণে প্রতিদিন একমুঠো বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট। বাটার খেলে এক স্লাইস রুটিতে দুই টেবিল চামচ নেওয়া যেতে পারে। সাধারণত বিকেলবেলার স্ন্যাকস হিসেবে এই বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
চিনাবাদাম খাওয়ায় সতর্কতা
মিনারেলের শোষণকে বাধা দেয়
চিনাবাদাম ফসফরাসের চমৎকার উৎস। এটি সাইটিক অ্যাসিড বা সাইটেট হিসেবে সংরক্ষিত হয়। বেশি সাইটেট গ্রহণ আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ম্যাংগানিজ শোষণকে বাধা দিতে পারে। এতে পুষ্টির ঘাটতি হয়ে অন্যান্য সমস্যা তৈরি হয়।
ওজন কমাতে চাইলে
চিনাবাদাম দামে সস্তা ও স্বাস্থ্যকর। তবে এর মধ্য বেশি পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে। এই বাদাম অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডায়েট করলে দিনে একমুঠো বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট। এতে দৈনিক চাহিদার ১৭০ ক্যালরি পূরণ হবে এবং অনেকক্ষণ পেট ভরাও থাকবে।
পাকস্থলীর সমস্যায়
অতিরিক্ত চিনাবাদাম খাওয়া পাকস্থলীর অস্বস্তি বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব সমস্যা তৈরি করে। এ ধরনের সমস্যায় বেশি ভুগলে চিনাবাদাম অতিরিক্ত না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
অ্যালার্জি
চিনাবাদাম খেলে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। এমনকি সামান্য পরিমাণ চিনাবাদামও অনেকের ক্ষেত্রে অ্যালার্জি বাড়ায়। এমন হলে চিনাবাদাম খাওয়া এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।