ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল
গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা থাকলে শিশুর বৃদ্ধি ব্যহত হয়। এ ছাড়া প্রি একলাম্পসিয়া, প্রি-ম্যাচুর ডেলিভারি, প্রসবকালীন রক্তক্ষরণ, প্রস্রাবের সংক্রমণ, ফুসফুসের সংক্রমণ, প্রসব পরবর্তী জরায়ুর সংক্রমণ, জরায়ু সংকুচিত না হওয়া প্রভৃতি ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যায়। এমনকি গর্ভাবস্থায় রক্ত স্বল্পতা অনেক সময় মাতৃমুত্যুর কারণও হতে পারে। শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ে।
চিকিৎসা
যথাযথ আয়রন চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যার অনেকখানিই নিরাময় সম্ভব। অন্যান্য রোগ থাকলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে। প্রয়োজনে রক্ত পরিসঞ্চালনও করতে হতে পারে।
প্রতিরোধ
এ ক্ষেত্রে সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। গর্ভবতী নারী স্বাভাবিকের চেয়ে পরিমাণে একটু বেশি খাবেন। গর্ভাবস্থায় শুরু থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নিয়মিত তত্ত্বাবধায়নে থাকলে সমস্যা শুরুতেই চিহ্নিত করা সম্ভব। তাই নিয়মিত অ্যান্টিন্যাটাল চেকআপ খুব জরুরি। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন –পালংশাক, কচু শাক, কাঁচা কলা, মুরগি ও গরু- খাসির কলিজা, মাংস, দুধ, ডিম প্রভৃতি খেতে হবে। প্রয়োজনে আয়রন সাপ্লিমেন্ট হিসেবে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। এভাবে সচেতন হলে রক্তস্বল্পতা জনিত শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
লেখক : রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ