ফারজানা ফাতেমা (রুমী)
ক্লান্তি দূর করতে যেমন এর কারণ বুঝে চিকিৎসা নিতে হয় এবং দৈনন্দিন জীবনযাপনের পরিবর্তন করতে হয়, তেমনি খাবারদাবারের বিষয়েও খেয়াল রাখতে হয়। সঠিক খাবারের রুটিন এবং কিছু খাবার ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক।
পানি পান
কখনো কখনো কেবল পানিশূন্যতার কারণে শরীর ক্লান্ত হয়ে পরে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য সারাদিনে অন্তত ৩ লিটার। বিশেষ করে ব্যায়াম কিংবা ভারী কাজের পরে এক গ্লাস পানি পান শক্তি ফিরিয়ে আনবে।
ক্যাফেইন
যে কেউ ক্লান্ত বোধ করলে ক্যাফেইন বাদ দেওয়া উচিত। সর্বোত্তম উপায় হলো- তিন সপ্তাহের মধ্যে ধীরে ধীরে সমস্ত ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (কফি, চা ও কোলা) খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া। এটি ছাড়া কম ক্লান্ত বোধ করেন কি না তা দেখতে এক মাসের জন্য ক্যাফেইন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন।
সকালের খাবার
এটি আপনার হজম পক্রিয়া ভালো রাখে এবং শরীরকে শক্তি দেয়। মস্তিষ্ক জ্বালানির জন্য গ্লুকোজের ওপর নির্ভর করে। তাই কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ সকালের খাবার যেমন চিড়া, রুটি, ভাত বেছে নিন। সকালের খাবার এড়িয়ে যাবেন না। বেশিক্ষণ খাবার ছাড়া রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। আপনার খাদ্য তালিকায় ফল, সবজি, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার এবং চর্বিহীন মাংসের পরিমাণ বাড়ান। অতিরিক্ত চর্বি, চিনি ও লবণযুক্ত খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন।
দুপুরের খাবার
প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের সংমিশ্রণ খাদ্যতালিকায় রাখুন । কার্বোহাইড্রেট শক্তির জন্য গ্লুকোজ সরবরাহ করে। প্রোটিন আপনার মনকে মনোযোগী ও সতর্ক রাখতে সাহায্য করে।
রাতের খাবার
চেষ্টা করুন রাত ৮ টার মধ্যে খেয়ে নিতে এবং পরিমাণে কম খেতে। হজমে সমস্যা না হলে এক গ্লাস দুধ খান।
ছয়বার খাদ্য গ্রহণ
সারাদিন আপনার শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে অতিরিক্ত খাবেন না। প্রতিদিন তিন বারের বেশি খাবার খাওয়ার পরিবর্তে ছয়বার অল্প খাওয়ার চেষ্টা করুন।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
নারীর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় আয়রনের ঘাটতি বেশি দেখা দেয়। আপনার খাদ্যতালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন, কচুশাক, কচুর লতি, বেগুন, পেয়ারা, আপেল ইত্যাদি রাখুন।
লেখক : মনোবিজ্ঞানী