সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
বিশ্বে প্রতি সাত সেকেন্ডে একজন ব্যক্তি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হোন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এ দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট) এর একটি জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ডায়াবেটিস নিরব ঘাতক। অনেক সময় কোনো লক্ষণ বুঝে উঠার আগেই ডায়াবেটিস দেহে বাসা বাঁধে। তবে রোগটি কেবল একা আসে না। সঙ্গে নিয়ে আসে হৃদরোগ, কিডনি ফেইলিউর, ত্বকের সমস্যা, চোখের সমস্যাসহ নানা ব্যাধি।
একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ রোগটি হওয়ার পরও বুঝতে পারে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব ডায়াবেটিস নির্ণয় জরুরি।
একটি সময় ৪৫ বছর বয়সকে ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য সঠিক সময় মনে করা হতো এবং প্রতি তিন বছর পর পর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার কথা বলা হতো। তবে সম্প্রতি ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের একটি তথ্যে বলা হয়েছে, আগে শিশু, কিশোর ও তরুণদের মধ্যে রোগটি প্রায় নেই বললেই চলতো। তবে বর্তমানে তাদের দেহেও এটি ধরা পড়ছে। আর তাই এর পরীক্ষা আগে থেকেই করা জরুরি। তাদের পরামর্শ অন্তত ২৫ বছর বয়স থেকেই ডায়াবেটিসের পরীক্ষা করা ভালো। বিশেষ করে যারা স্থূল বা বাড়তি ওজনের সমস্যায় ভুগছে তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আবশ্যক।
অপরদিকে, নিউ ডায়াবেটিস গাইডলাইনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৫ বছরের পর থেকে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা যেতে পারে। বয়স যাই হোক, যেহেতু কিশোর- তরুণরাও এটি থেকে রেহাই পাচ্ছে না, তাই রোগটি আগেভাগে পরীক্ষা করাই শ্রেয়।
ডায়াবেটিস সারাজনমের রোগ হলেও জীবনযাপনের ধরনের পরিবর্তন, নিয়মানুবর্তিতা,স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ইত্যাদির মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হোন। ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানুন।