শাশ্বতী মাথিন
বিজ্ঞানীরা বহুভাবে প্রমাণ করেছেন ঘুম দেহের জন্য জরুরি। ঘুম মনের শক্তি জোগায়, দেহের কোষগুলোকে উজ্জীবীত করে। এ ছাড়া দেহের বিভিন্ন কাজে এটি প্রয়োজনীয়। তবে বয়সভেদে কতটুকু ঘুম একজন মানুষকে সুস্থ-সবল রাখে?
ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের গাইডলাইন অনুসারে, একজন স্বাস্থ্যবান প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির দৈনন্দিন সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম জরুরি। তবে শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলে-মেয়েদের একটু বেশি ঘুমানো প্রয়োজন। আবার ৬৫ বছরের ওপর হয়ে গেলে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট।
তবে সম্পূর্ণ বিষয়টিই নির্ভর করে আপনার বয়স ও শারীরিক অবস্থার ওপর। একজন অসুস্থ ব্যক্তির নিশ্চয়ই বেশিই বিশ্রাম প্রয়োজন। সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রল অ্যান্ড প্রিভেনশনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে বয়স ভেদে কতটুকু ঘুম জরুরি তার একটি তালিকা দেওয়া হলো-
শূন্য থেকে তিন মাসের নবজাতকের ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। আবার এর চেয়ে একটু বড়, যাদের ইনফ্যান্ট বলা হচ্ছে অর্থাৎ চার থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা ঘুমালেই চলে। এক থেকে দুই বছর বয়সী শিশুর ঘুমের পরিমাণ হতে হবে ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা। তিন থেকে চার বছর বয়সের শিশুরা ঘুমাবে ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টার মতো। আর ছয় থেকে ১৩ বছরের একটি শিশুকে নয় থেকে ১১ ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে হবে।
১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সে ঘুমাতে হবে আট থেকে ১০ ঘণ্টা। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের জন্য পরিমাণটি হবে সাত থেকে নয়। ২৬ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের জন্যও সাত থেকে নয় ঘণ্টা। ৬৫ বছর বা এর পরে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমালেই চলবে।
ভালো ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরি। তাই ঘুমের অন্তত একঘণ্টা আগে সব ধরনের ইলেকট্রনিক গ্যাজেট থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়াও জরুরি বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।