সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
রোজার সময় সুস্থ থাকতে সেহরি ও ইফতারের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া সবচেয়ে জরুরি। ভারি খাবার, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া হজমে সমস্যা, পেট ফোলাভাব, পানিশূন্যতা ইত্যাদি তৈরি করে ডেকে নিয়ে আসতে পারে নানা বিপত্তি। রোজার সৌন্দর্যই তখন মাটি হয়ে যেতে পারে।
রোজায় সুস্থ থাকতে সেহরি ও ইফতার কেমন হবে, এ বিষয়ে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ সাভারের চিকিৎসক ডা. শাকিল মাহমুদ। তাঁর পরামর্শ মতে,
# ইফতার ও সেহরিতে সুষম, পুষ্টিকর ও ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খেতে হবে। এমন ধরনের খাবার খেতে হবে, যা দেহের পানিশূন্যতা বা হজমের সমস্যা প্রতিরোধ করবে। এ ক্ষেত্রে খেতে পারেন- ঢেঁকি ছাটা চাল, লাল আটার রুটি, সবজি, শশা, টমেটো, গাজর ও খেঁজুর ইত্যাদি। প্রোটিনের চাহিদা পূরণে মাছ- মাংস, ডিম ও দুধ ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।
# পানিশূন্যতা, প্রস্রাবের বেগ বেশি হওয়া, ঘাম বাড়া ইত্যাদি প্রতিরোধে সেহরি ও ইফতারে চা-কফি, কোমল পানীয়, অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরক্ত থাকুন।
# সেহরি শেষ সময়ে খান। এতে পেট বেশিক্ষণ ভরা থাকবে। হজম দেরি করে হবে। এতে শরীর শক্তি ধরে রাখবে।
# সহজে হজম হবে এমন খাবার সেহরিতে খেতে হবে। যেমন : দই-চিড়া, আপেল, ডাবের পানি, মৌসুমী ফল ইত্যাদি।
# ইফতার শারীরিক অবস্থার ওপর বিবেচনা করে খেতে হবে। ভাজা পোড়া খাবার দিয়ে ইফতার না শুরু করাই ভালো। কারণ, রোজার পর পাকস্থলী স্পর্শকাতর থাকে। তরল, অর্ধতরল, ফলের জুস, খেঁজুর, পাতলা খিচুরি, বাসার তৈরি হালিম খাওয়া যেতে পারে। তাড়াহুড়া করে খাওয়া যাবে না। ধীরে ধীরে খেতে হবে।
# রোজা রেখে অতিরিক্ত ব্যায়াম/ পরিশ্রম করা, অযথা রোদে ঘোরাফেরা থেকে বিরত থাকুন।