সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল কামরাঙা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আঁশ, ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। তবে জানেন কি কিডনি রোগীদের জন্য কামরাঙা ক্ষতিকর? হ্যাঁ, এমনটাই মতামত বিশেষজ্ঞদের।
পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি জানান, কিডনি হলো দেহের ছাঁকনি বা ফিল্টার। এটি দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রেখে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। যেসব খাবার খেলে কিডনির এই কাজটি করতে অসুবিধা হয়, সেসব খেতে নিষেধ করি আমরা। অর্থাৎ কিডনির ওপর চাপ পড়ে, এমন খাবার কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কামরাঙার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অক্সালিক এসিড। রোগীরা এই খাবারটি খেলে কিডনির ওপর চাপ পড়ে। এতে কিডনি ফেইলিউর হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কামরাঙা বেশি খেলে অতিরিক্ত অক্সালিক এসিড কিডনিতে জমা হয়। একে বলে অক্সালেট নেফ্রোপ্যাথি জানিয়ে পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন বলেন, ‘এটি বাড়লে কিডনিতে পাথর হতে পারে। এমনকি শুধু কিডনি রোগী নয়, একজন সুস্থ ব্যক্তিও প্রচুর পরিমাণ অক্সালিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খেলে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন।’
অনেকে কামরাঙা লবণ-মশলা মিশিয়ে খায়। এতে রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বাড়ে। সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। উচ্চ রক্তচাপ রক্তের ক্রিয়েটিনিন বাড়িয়ে দেয়। এটি কিডনির জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া কামরাঙার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। এটি হার্ট অ্যাটাক স্ট্রোক, এসিডিটি ইত্যাদির প্রবণতা বাড়ায়।
তাই কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে কামরাঙা খেতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর একজন সুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে পরিমাণ মতো খেতে হবে। কোনো খাবারই বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। এমনটাই পরামর্শ দিলেন এই পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন।