শাশ্বতী মাথিন
সংগীতজীবনের ৬৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের অন্যতম কিংবদন্তি শিল্পী ফওজিয়া ইয়াসমিনকে সম্মাননা দিয়েছে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মেঘদূত। এই উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুন) শিল্পীর জন্মদিনে ঢাকার কাঁটাবন ক্যাফেতে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
লেখক রাশেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্পীকে শুভেচ্ছা স্মারক, উপহার, উত্তরীয় ও মানপত্র প্রদান করেন মেঘদূতের সদস্যরা। বাকশিল্পী মুনমুন খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অধ্যাপক রীনাত ফওজিয়া। মানপত্র পাঠ করেন কবি ও কথাসাহিত্যিক খান আফিফা লুনা। স্বাগত বক্তব্য দেন মেঘদূতের সাধারণ সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক তাহেরা আফরোজ।
শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন ‘রূপবান’ খ্যাত চিত্রনায়িকা সুজাতা আজিম। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করে শোনান মেঘদূত লেখক পর্ষদের সদস্য মাহবুবা হক, দীপন সরকার ও কামরুল ইসলাম চৌধুরী।
ষাট ও সত্তর দশকে ফওজিয়া ইয়াসমিনের গাওয়া বিভিন্ন গান নিয়ে হাজির হন এই যুগের শিল্পীরা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীর কন্যা রীনাত ফওজিয়া, বাঁধন ইয়াসমিন, তাপস ইকবাল, লুৎফুন নাহার পাখি, সাফিকা নাসরিন মিমি, রাবেয়া বসরী, এরশাদুর রহমান ও শিশু শিল্পী সামারা।
ষাটের দশকে আধুনিক বাংলা গানের জগতে দাপটের সঙ্গে যারা রাজত্ব করে বেড়িয়েছেন, তাদের মধ্যে ফওজিয়া ইয়াসমিন অন্যতম। আজ পুতুলের গায়ে হলুদ- কাল পুতুলের বিয়ে, মন তো নয় আর আয়না, এই ক্ষণ চলে যায় যাক না, মধু রাতি বুঝি চলে যায়, তুমি আসবে ভালোবাসবে, ও পাখি পরান খুলে গেয়ে যা, একি জ্বালা হইলো রে আমার, চলো না কোথাও ঘুরে আসি, যা যারে যা পাখি ইত্যাদি অনবদ্য গানগুলো তাঁর কণ্ঠ থেকেই শ্রোতার কানে পৌঁছেছে।
ফওজিয়া ইয়াসমিন ২০০৬ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বার্ষিক গুণীজন সংবর্ধনা পান এবং ১৯৮৭ সালে অলক্ত সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার পান। তিনি প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী নিলুফার ইয়াসমিন ও সাবিনা ইয়াসমিনের বড় বোন।