সাতকাহন২৪.কম
বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমেই থমকে দাঁড়ানো, যেদিকে চোখ যায় শুধু বিভিন্ন রঙের, নানা ধরনের বাহন। ঘোরে না গাড়ির চাকা। রোদে পুড়ে বা বৃষ্টিতে ভিজে কাজে পৌঁছাবার ইচ্ছাটাই চলে যায় তখন। আর ফেরার সময়ে ক্লান্ত দেহে থেমে থেমে চলা যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। তেতো হলেও সত্য, যানজট আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে একটু কৌশলী হলে এই নষ্ট হওয়া সময় কিন্তু কাজে লাগানো যায়। কীভাবে কাজে লাগাবেন এই সময়? রইল কিছু পরামর্শ।
১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যের গল্প দেখে অযথা সময় পার করবেন না। এর চেয়ে কানে হেডফোন লাগিয়ে শুনে নিন কোনো অডিওবুক বা পডকাস্ট।
২. ঘনবসতির ঢাকায় জীবন যাপন মানেই মানসিক চাপ, যানজট তা আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই অভ্যাস করুন শ্বাসের ব্যায়াম ( ব্রিদিং এক্সারসাইজ), যা আপনার চাপ কমাবে।
৩. কথা বলুন প্রিয়জনের সঙ্গে। ফোনে খোঁজ নিন আপনার স্বজন ও বন্ধুদের। জানুুন, তারা কেমন আছে, কেমন যাচ্ছে তাদের দিনকাল।
৪. নতুন কিছু শিখুন, নতুন কিছু লিখুন। মোবাইলে সহজে ইন্সটল করে নিতে পারেন ভাষা শেখার সফটওয়্যার। যানজটে প্রতিদিন ঘণ্টাখানেক সময় দিয়ে অচিরেই আয়ত্ত করে নিতে পারেন নতুন কোনো ভাষা। যদি লেখালেখির অভ্যাস থাকে তবে মোবাইলেই লিখে রাখতে পারেন নিজের গল্প-কবিতা।
৫. কানে হেডফোন গুঁজে কোনো রিলাক্সিং মিউজিক ছেড়ে মেডিটেশন করতে পারেন, যাতে বাসায় পৌঁছে ঘরের কাজগুলাে শান্ত মনে শুরু করা যায়।
৬. পড়তে পারেন কোনো বই, তা পড়ার হোক বা গল্পের। বই পড়ার অভ্যাস আর দশ জনের চেয়ে আপনার চিন্তাকে শাণিত, কথা বলাকে আকর্ষণীয় আর শব্দচয়ন সুগঠিত করবে।
৭. করতে পারেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। নতুন চাকরি বা কোনো ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন? কিন্তু কাজের চাপে চিন্তাগুলো গুছাতে পারছেন না? যানজটের স্থবির সময় মনোযোগ দিয়ে ভাবতে পারেন আপনার পরিকল্পনার খুঁটিনাটি।
৮. সবসময়ে সঙ্গে রাখুন পর্যাপ্ত পানি ও কিছু হালকা খাবার। সুযোগ পেলে খেয়ে নিন। ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাবু হয়ে গন্তব্যে পৌঁছালে কাজটাই হয়তো ঠিকমত হবে না।
সূত্র: পিটম্যানট্রাফিক