শাশ্বতী মাথিন
করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে প্রিয়জনের কাছ থেকে দূরে থাকা, উদ্বেগ, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং প্রতিদিনকার সংক্রমণ ও মৃত্যুর খবর মন খারাপ করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ সময়টায় বিষণ্ণতা বা উদ্বেগে ভোগা মানুষ নেহাত কম নয়। গোটা বিশ্ব ভুগছে এ হতাশায়।
এমন অবস্থায় নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে এবং বিষণ্ণতা কাটাতে কিছু উপায় বাতলেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ গাইড।
ইতিবাচক চিন্তা করুন
বিষণ্ণতার সময় নেতিবাচক চিন্তাগুলোই মাথায় ঘুরতে থাকে। মনে হয়, অন্ধকারের অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে সব। চিন্তা থামান। নেতিবাচকতার চক্র থেকে বেরিয়ে আসুন। এমন কিছুর প্রতি মনোযোগ দিন যা জীবনবোধ বা জীবনের অর্থকে খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
সময়কে কাজে লাগাতে নতুন কিছু শেখা শুরু করতে পারেন। হতে পারে সেটা ইংলিশ স্পিকিং কোর্স, গান শেখা বা যোগব্যায়াম। অর্থাৎ এমন কোনো কাজ করুন যা নেতিবাচক চিন্তাগুলো থেকে দূরে রাখতে পারে আপনাকে।
আনন্দ খুঁজুন
মহামারির সময় সবচেয়ে কঠিন প্রফুল্ল থাকা। করোনাতে গতকাল যে মানুষটি তার ছেলে বা মা হারিয়েছে সে আনন্দ খুঁজে পাবে কই? আসলে জীবন থেমে থাকে না। জীবন তার বহমান গতিতেই চলে। বিচ্ছেদের যন্ত্রণাকে পাশ কাটিয়ে আমরাও সেই বহমানতার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে শিখে যাই। নিজের মানসিক বল বাড়াতে শুনতে পারেন গান। এমন সংগীত শুনুন যা মনকে শান্ত করে, স্থিরতা দেয়। বাড়ির শিশু ও প্রবীণদের সঙ্গে সময় কাটান। যার যার ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করতে পারেন। ধ্যানও মনকে শান্ত করতে কাজে দেয়। তাই নিয়ম করে দুবেলা ধ্যান করতে পারেন।
বিষাদের সংবাদ বেশি পড়বেন না
হ্যাঁ, তথ্য জানার জন্য খবর বা সংবাদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে তো হয়ই। তবে নেতিবাচক এসব সংবাদ সারাক্ষণ মনকে ভারাক্রান্ত করে তুললে একটু বিরতি দিন। সারাক্ষণই দুশ্চিন্তার খবর পড়বেন না। কিছু হালকা ধাঁচের খবরও পড়ুন।
রুটিন মেনে চলুন
বেশি বা কম ঘুমানো, খাবার সঠিকভাবে না খাওয়া, ব্যায়াম না করা অর্থাৎ নিজের যত্নে অবহেলা বিষণ্ণতাকে বাড়িয়ে দেয়। বিষণ্ণতার সময় হয়তো কিছুই ভালো লাগছে না। নিজের পছন্দের কাজটাও হয়তো করতে ইচ্ছে করছে না সে সময়। তবুও এসব দুশ্চিন্তা, হতাশার ভেতরও নিজেকে সময় দিন; নিজেকে ভালোবাসুন। খাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম প্রতিটি কাজের জন্য রুটিন তৈরি করুন এবং সে অনুযায়ী চলুন। রুটিন করে কাজ করা বিষণ্ণতা কমানোর এক বড় হাতিয়ার।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
মানসিক চাপে থাকলে যা ইচ্ছে তাই না খেয়ে একটু স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এমন খাবার খান যা মন ভালো করবে। এ ক্ষেত্রে ওমেগা- ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার বেশ কাজে দেয়। কাঠবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, কিডনি বিন ইত্যাদিতে রয়েছে ওমেগা- ৩ ফ্যাটি এসিড। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এসব খাবার রাখতে পারেন।