ডা. শাকিল মাহমুদ
ওমিক্রন করোনাভাইরাসের আপগ্রেড ভার্সন। করোনাভাইরাসের বিবর্তন হয়ে ওমিক্রন এসেছে। আশার বাণী হলো, যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের লক্ষণগুলো কম প্রকাশ পায়। তাদের হাসপাতালে যাওয়ার হারও কম; মৃত্যুর ঝুঁকিও কম। তবে যারা ভ্যাকসিন নেননি, তুলনামূলকভাবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের ব্যক্তিরা এই ভ্যারিয়েন্টে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
লক্ষণ
করোনাভাইরাসের প্রায় সব লক্ষণই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে বিদ্যমান। এ ছাড়া-
# প্রচণ্ড মাথা, শরীর ও গলাব্যথা থাকবে।
# হালকা কাশি হতে পারে।
# করোনাভাইরাসের তুলনায় এখানে শ্বাসকষ্টের তীব্রতা কম।
# এই ভাইরাসে হালকা থেকে মাঝারি জ্বর থাকে। সাধারণত তীব্র জ্বর হয় না।
# এই ভাইরাসে শরীরে দুর্বলতা বেশি হয়।
# খাবারের রুচি নষ্ট হয়ে যায়।
# অবসাদ লাগে।
করণীয়
অন্যান্য ভাইরাসের মতো এই রোগের নির্দিষ্ট কোনো অ্যান্টিবায়োটিক নেই। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা এখানে অর্থহীন। উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। জ্বর হলে পরীক্ষা করিয়ে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাবে। ঠান্ডা-কাশি হলে অ্যান্টিহিস্টামিন নিতে হবে। কাশি থাকলে মন্টিলুকাস গ্রুপের ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। কাশির তীব্রতা বেশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে।
এ ছাড়া ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। পুষ্টিকর খাবার, সবুজ শাকসবজি ও হলুদ ফলমূল খান। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন : লেবু, কমলা, মাল্টা, আঙুর, ব্রকলি, টমেটো, গাজর ইত্যাদি।
জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, জিঙ্ক করোনাভাইরাসের বংশবিস্তারে বাধা দেয়। করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকুন। স্বাস্থ্যবিধি মানুন এবং মাস্ক ব্যবহার করুন।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকা