সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
হাফ সিল্কের চাপা সাদা শাড়ি। লাল রঙের পাড়ে সোনালি প্রিন্ডেট ছোট ফুল। এর নিচেই পাড় ঘেঁষে গোলাপি, মেজেন্টা রঙের বাহারি কাজ। আবার হয়তো লাল ও বেগুনির মিশ্রণে জমিন, পাড়ে রয়েছে কমলা রং। আঁঁচল ও শাড়ির নিচে স্কয়ার বা বাহারি ফুলের নকশা।
আবার একটু আরামে পরা যায়, এমন সুতি শাড়িগুলোর ক্ষেত্রে নতুনত্ব আনার জন্য করা হয়েছে হ্যান্ডপ্রিন্ট, ব্লকের কাজ। যেহেতু শরৎকাল, তাই প্রকৃৃতির সঙ্গে মিলিয়ে নীল, সাদা, পিচ, চাপা সাদা ইত্যাদি রং প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এবার পূজার পোশাকে বাজার ঘুরে এ ধরনের শাড়িই চোখে পড়ল।
তবে কুর্তি বা ওয়ান পিস, টপস, টিউনিকের চলও রয়েছে বেশ। এ ক্ষেত্রে কাপড় হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে সেমি মসলিন, ভিসকস, সুতি, সিল্ক, নরম জর্জেটের কাপড়গুলো। পুতি, চিকন সুতা বা জড়ির কাজ রয়েছে এসবে। এবার পূজায় পোশাকের ধরন কেমন? জানতে চাইলে, কে-ক্র্যাফটের স্বত্বাধিকারী খালিদ মাহমুদ খান জানান, পূজার উৎসবকে আরও বর্ণিল করতে আমরা বৈচিত্র্যময় নতুন পোশাক নিয়ে এসেছি। মানডালা, ট্রাইবাল ও ফ্লোরাল মোটিফের অনুপ্রেরণায় এবং বিচিত্র রঙের বিন্যাসে চলমান ট্রেন্ড অনুযায়ী নকশা করা হয়েছে পোশাকগুলোর। পাশাপাশি ক্ল্যাসিক লুকের সঙ্গে রেট্রো লুকের কম্বিনেশন নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। রঙের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে সাদা, লাল, কোরা, ছাই, কোরালরেড, রুপালি, কোরালপিঙ্ক, পার্পল, বাদামি ইত্যাদি ।
কেবল বাজারেই নয়, ফেসবুকের বিভিন্ন পোশাকের পেজগুলো ঘুরেও দেখা যায় পূজা উপলক্ষে নিত্যনতুন নকশার পোশাকের সমারোহ। এমনই একটি ফেসবুক পেজ ‘ঊ’-এর কর্ণধার তাসনিয়া জহুরা। পাঁচ বছর ধরে তিনি চালাচ্ছেন এটি। পোশাক তৈরির নিজেরই একটি কারখানা রয়েছে তাঁর। বললেন, আমার পেজের একটি বড় অংশ হিন্দু সম্প্রদায়। তাঁদের জন্য হাফ সিল্কের মধ্যে সাদা ও লাল পাড় শাড়ি এনেছি। পাড় ও আঁচলে রয়েছে সোনালি রঙের ব্লকের কাজ। এ ছাড়া যেহেতু শরৎকাল চলছে এবং এখনো গরম রয়েছে, তাই আরামদায়ক কিছু পোশাক এনেছি। খাদি ও সুতির শাড়ি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আকাশি, নীল, গাঢ় নীল, সাদা ইত্যাদি রং বেছে নেওয়া হয়েছে। থ্রিপিসও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সেমি মসলিন কাপড়ের ওপর ব্লকের কাজ করা হয়েছে। এগুলো বেশ চাহিদা রয়েছে ক্রেতাদের মাঝে।
বাজারে দেখা গেল, ছেলেদের জন্য রয়েছে পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টি-শার্ট। পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে হাফ সিল্ক, সুতি, খাদি ইত্যাদি কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে। বুকে, গলায় ও হাতায় রয়েছে সোনালি চিকন সুতা বা পুতির কাজ। এ ছাড়া ব্লকের পাঞ্জাবির চলও রয়েছে বেশ। ছোট মেয়েদের ফ্রগ, স্কার্ট, সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি এবং ছোট ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, টি-শার্ট রয়েছে। কে-ক্র্যাফটের কর্ণধার খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘মূলত এমন পোশাক তৈরি করা হয়েছে, যা আরামদায়ক, সময়োপযোগী ও উৎসবধর্মী হবে। ছোটদের জন্যও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রঙিন পোশাক। এ ছাড়া থাকছে যুগল ও ফ্যামিলি পোশাক। একটি পরিবারের সবাই চাইলে একই নকশা ও কাপড়ের পোশাক পরতে পারবে।’