সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
নিজে কম সাজলেও অন্যকে সাজাতে খুব পছন্দ করতেন মিলুফা ফেরদৌসী মিলি। পলিটিক্যাল সাইন্সে মাস্টার্স করেন। পাশাপাশি করেন বি এড। তবে এ সময় এতো ব্যস্ত থাকতে হতো যে কোনো অবসরই পাচ্ছিলেন না। এরপর চিন্তা করলেন মেকআপের বিষয়টিও পেশা হিসেবে নেওয়া যায়। এই ভাবনা থেকেই উজ্জ্বলায় ভর্তি হওয়া। উজ্জ্বলার ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। বর্তমানে নিজে একটি স্যালন খুলেছেন। রংপুর শহরে মাসে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় হয় তাঁর। পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অ্যাসেসর হিসেবে কাজ করছেন।
জানালেন, বিউটি আর্টিস্ট হওয়ার বিষয়টিকে অনেকে নিচু চোখে দেখে। অনেক শিক্ষিত মেয়েরা এখানে আসতে চায় না। কিন্তু আমি দেখেছিলাম, একজন নারী তাঁর শিক্ষাটাকে এখানে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারে এবং ভালো একজন বিউটি এক্সপার্ট হতে পারলে মাসে মোটা অংকের টাকাও আয় করা যায়। চাকরির আশায় অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর না করে এই কাজটিকে নিজের মতো করে করা সম্ভব।’
উজ্জ্বলা আমাকে সফলভাবে শেখাতে পেরেছে। এখান থেকে শেখার পর বাইরে প্রতিষ্ঠান করার সাহস পেয়েছি। পার্লারকে বড় করে শুরু করেছি। প্রথম আমার পার্লারে কর্মচারী ছিলো দুই জন। এখন পাঁচ থেকে ছয় জন কাজ করে। উজ্জ্বলা থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর মানসিকভাবে খুব শক্তি পেয়েছি। এখান থেকে শিখে বুঝতে পেরেছি আমি ঘরের ভেতর পড়ে ছিলাম। বাইরের দুনিয়াটা আসলে অনেক বড়- জানান তিনি।
উজ্জ্বলা আমার ভিত্তিটা সুন্দর করতে সাহায্য করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উজ্জ্বলার সহ প্রতিষ্ঠাতা আফরোজা পারভীন আপার কাছ থেকে আমি অনেক শিখেছি।উজ্জ্বলায় খুব অল্প টাকায় মেয়েদের জন্য একটি ভালো মেকআপ প্রশিক্ষণ দেয়। আমি যেভাবে চেয়েছি সেভাবে তারা আমাকে তৈরি করেছে। উজ্জ্বলা ভিত্তিটা গড়ে দিয়েছে বলেই এখন এই পর্যায়ে দাঁড়াতে পেরেছি।
উজ্জ্জলা থেকে ২০১৮ সালে উত্তরবঙ্গে প্রথম অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ভেতরে কীভাবে মেকআপ আর্টিস্ট্রি বিষয়টি আরো প্রসারিত করা যায় সেই বিষয়ে কাজ করছেন এখন। জানান, মাস্টার্স পাশ করার পর আমি যখন মেকআপের বিষয়টিকে পেশা হিসেবে বেছে নিই, তখন অনেকে বাজে মন্তব্য করেছে। তবে এখন তারাই আমার প্রশংসা করে। আমি চাই আরো শিক্ষিত মেয়ে এই পেশা বেছে নিক। তাহলে সার্বিকভাবে এই সেক্টরের আরো উন্নতি হবে।
উজ্জ্বলা আমাকে প্রথম শিখিয়েছিলো, যত বেশি কথা বলবে, ক্লাইন্টের মনের কথা জানতে পারবে, তত বেশি কাজ পাবে। যারা মেকআপ করাতে আসে তারা আস্থা পাবে। তাই আমি ক্লাইন্টের সঙ্গে সবসময় সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করি। আর এটা উজ্জ্বলার শিক্ষা। বর্তমানে নিজের স্যালনে তো কাজ করছিই, তবে ভবিষ্যতে উজ্জ্বলার প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করতে চাই। উজ্জ্বলা আমাকে অনেক দিয়েছে। আমি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে থেকে যেতে চাই- বলছিলেন হাস্যজ্জল এই মেয়েটি।
বি : দ্র : বাংলাদেশের বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিং ইন্ডাস্ট্রিতে উদ্যোক্তা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে উজ্জ্বলা লিমিটেড। উজ্জ্বলায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সংগ্রাম করে সাফল্য অর্জন করেছেন, এমন কয়েকজন নারী ও পুরুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে সাতকাহনের ধারাবাহিক পর্ব চলছে। এই পর্বটি ছিলো ৫০তম। উজ্জ্বলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন :
https://www.facebook.com/UjjwalaBD
https://www.instagram.com/UjjwalaBD/
ফোন : ০১৩২৪৭৩৪১৫৭