সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
মেকআপের বিষয়টি শুরু থেকে অপছন্দ ছিল সারমিন আলমের পরিবারের। বিশেষ করে মা ভাবতেন মেয়ে মেকআপ আর্টিস্ট হলে আত্মীয়-স্বজন কী বলবে ! তবে স্বামী খুব সহযোগিতা করেছিল বিউটি আর্টিস্ট হয়ে উঠতে।
পরে যখন পরিবারের মানুষ দেখলেন দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই সারমিনের কাছে বউ সাজতে আসছেন এবং তার প্রশংসা করছেন, পাশাপাশি সে আয়ও করছে, তখন বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়া শুরু করে।
‘ প্রথমে আমার কাজটিকে কেউ পছন্দ করছিল না। সমাজে বিউটিফিকেশন যে একটি চমৎকার পেশা হতে পারে এবং এটিও যে নারীকে স্বাবলম্বী করে একটি ভালো আয়ের উৎস হয়ে উঠতে পারে, সেটি পরিবারকে বোঝাতে আমার অনেক সময় লাগে ‘, বলছিলেন সারমিন।
করোনার লক ডাউনের সময় একদম বাসায় বসা ছিলাম। তখন ফেসবুকে একটি পেইজ খুলি। এরপর একটু একটু করে মেকআপ প্র্যাকটিস করতাম, ভিডিও আপলোড করি। এভাবেই কাজ শুরু করা এবং বিউটিফিকেশনকে সম্পূর্ণ পেশা হিসেবে নেওয়া, জানান তিনি।
২০১৯ সালে বরিশালে একটি ক্লাস করা হয় উজ্জ্বলার। সেখানে প্রথম ক্লাস করি। এটি ছিল বউ সাজানোর ওপর। উজ্জ্বলার প্রতিষ্ঠাতা আফরোজা পারভীন ম্যামকে সবসময় টিভিতে দেখেছি। তার কাছ থেকে শেখার আগ্রহ ছিল জানিয়ে সারমিন আলম বলেন, ‘ সেই ক্লাসটি করার পর উজ্জ্বলা ও আফরোজা পারভীন ম্যামকে আরো ভালোভাবে জানি। ২০২৩ সালে বরিশালে জয়িতা ফাউন্ডেশন ও উজ্জ্বলার যৌথ উদ্যোগে ১০ দিনের একটি কোর্স হয়, সেটায় অংশ নেই। এটি খুব কাজে লেগেছে। বর্তমানে বাড়িতেই একটি মেকআপের স্টুডিও দিয়েছি। বর্তমানে এখানে কেবল বউ সাজিচ্ছি। আয় খারাপ না।’
উজ্জ্বলা জীবনকে বদলে দিতে সাহায্য করেছে। উজ্জ্বলার প্রেরণাতে আজ স্বাবলম্বী হতে পেরেছি। ভবিষ্যতে নিজের স্টুডিওকে আরো বড় করবো, বলেন সারমিন।
বি : দ্র : বাংলাদেশের বিউটি অ্যান্ড গ্রুমিং ইন্ডাস্ট্রিতে উদ্যোক্তা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে উজ্জ্বলা লিমিটেড। উজ্জ্বলায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং সংগ্রাম করে সাফল্য অর্জন করেছেন, এমন কয়েকজন নারী ও পুরুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে সাতকাহনের ধারাবাহিক পর্ব চলছে। এই পর্বটি ছিলো ৭২তম। উজ্জ্বলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন :
https://www.facebook.com/UjjwalaBD
https://www.instagram.com/UjjwalaBD/
ফোন : ০১৩২৪৭৩৪১৫৭