নিশাত শারমিন নিশি
প্রতিটি মুসলমানের কাছে ঈদ খুব বিশেষ একটি দিন। ঈদ-উল- আজহা মানেই পরিবারের খাবার টেবিলে বিভিন্ন ধরনের মাংসের রেসিপির বাহার। এ ক্ষেত্রে নিজের বাড়িতে তো বটেই, অন্য কোথাও গেলেও মাংসের আইটেমই পাতে ওঠে সবার আগে।
তবে হঠাৎ করে এসব বাড়তি ভারি খাবারে রয়েছে নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি। অতিরিক্ত গরু ও খাসির মাংস কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি করে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বাড়িয়ে দিতে লাল মাংস (গরু, খাসি) যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। আবার যাদের রক্তে ইউরিক এসিড বেশি বা যাদের বাতের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও এগুলো গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা থাকে। আর ঈদে একটু আনন্দ করতে গিয়ে যেন অসুস্থতা বেড়ে না যায়, সে ক্ষেত্রে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা।
১. রান্নার ক্ষেত্রে মাংসের আকার একটু ছোট করে নিন। এ ক্ষেত্রে অনেক আইটেম গ্রহণ করলেও পরিমাণ অল্প থাকায় সমস্যা কম হবে।
২. গরু বা খাসির মাংসে যেহেতু প্রচুর পরিমাণ চর্বি থাকে, তাই বাড়তি চর্বির লেয়ার বাদ দিয়ে রান্না করুন। এগুলো স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়।
৩. যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাদের মাংস বেশি খেলে সমস্যা বাড়ে। যেহেতু এই সময় পরিবারে সবজি রান্না কম হয়, অথবা অনেকে এই সময় সবজি গ্রহণও তেমন পছন্দ করে না, তাই কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে মাংসের রেসিপিতে আনতে পারেন পরিবর্তন। মাংসের সঙ্গে দিতে পারেন সবজি। যেমন : টমেটো দিয়ে মাংস রান্না, কাঁচা পেঁপে দিয়ে মাংস রান্না, বাঁধাকপি আচারি মাংস, বেলপেপার দিয়ে রান্না মাংস ইত্যাদি।
লেখক
প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান
পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল