Wednesday, December 11, 2024
spot_img
Homeডায়েট—ফিটনেসঈদে কিডনি, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর খাবার কেমন হবে?

ঈদে কিডনি, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর খাবার কেমন হবে?

সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক

ঈদ মানেই খাবার টেবিলে ভুরিভোজের সমারোহ। আর এবার যেহেতু কোরবানির ঈদ, তাই বিরিয়ানি, তেহারি, বিভিন্ন ধরনের কাবাব ইত্যাদি মাংসের রেসিপি থাকবে বেশি। তবে এসব লাল মাংস (গরু, খাসি), মিষ্টান্ন খাওয়া কিন্তু ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এসব খাবার খেতে হবে খুব সতর্কতার সঙ্গে।

ঈদের সময় রোগীদের খাবার-দাবারের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান নিশাত শারমিন নিশি।

কিডনি রোগী

কিডনি রোগীদের খাবারে প্রোটিনের পরিমাণে সীমাবদ্ধতা বা নিষেধাজ্ঞা থাকে। আর মাংস যেহেতু প্রোটিন, তাই এটি গ্রহণে কিডনি রোগীর নানা ধরনের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ক্রিয়েটিনিন বাড়তে পারে।

# সারাদিনের খাদ্যতালিকায় যেকোনো একটি মাংসের আইটেমই যথেষ্ট। তবে তা অবশ্যই হতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

# গরু, খাসির মাংস খেতে চাইলে, একে ছোট ছোট টুকরো করেে যেকোনো সবজির সঙ্গে মিশিয়ে একটি তরকারি তৈরি করা যেতে পারে।

# এ ছাড়া কোনো একবেলা দুই টুকরো মাংসের বেশি খাওয়া হলে, পরের বেলায় প্রোটিন সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে।

# খাবারের তালিকায় প্রতিদিন ডিম রাখা ভালো। হবে কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে মাংস ও ডিম একসঙ্গে রাখা জরুরি নয়।

# অবশ্যই প্রোটিনের সঙ্গে সঙ্গে লবণের পরিমাণের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। খাবারে বাড়তি লবণ ও মশলার ব্যবহার যত কম, ততই ভালো।

ইউরিক এসিডে আক্রান্ত রোগী

রক্তে ইউরিক এসিড বেশি থাকলে ঈদের খাবার-দাবারে সতর্ক হতে হবে। যাদের এ ধরনের সমস্যা থাকে, তারা গরু বা খাসির মাংসের পরিবর্তনে মুরগি বা মাছের আইটেম খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।

ক্ষতিকর কোলেস্টেরলে আক্রান্ত হলে

কোলেস্টেরল ভালোও হয়। আবার খারাপও হয়। যাদের দেহে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তারা অনেক হৃদরোগ, স্ট্রোক ইত্যাদি রোগের ঝুঁকিতে থাকে। এ ধরনের রোগীরাও লাল মাংস খেতে সতর্ক হবেন।

অনেকেই গরু-খাসির মাংসে বাড়তি চর্বির লেয়ার পছন্দ করে। যাদের দেহে ইতোমধ্যেই অতিরিক্ত চর্বি রয়েছে, তারা এগুলো এড়িয়ে যান। এই ধরনের ভারি খাবারগুলো উচ্চরক্তচাপ এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী

ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর ঈদ মানে মিষ্টান্ন থাকবে টেবিলে। তবে যতই লোভে পরুন না কেন, এ ধরনের খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। এর পরিবর্তে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, মিষ্টি ফল খেতে পারেন। যেমন : কাঠাল, তরমুজ, আম ইত্যাদি।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments