সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
ইফতারে খাবারের তালিকায় বিরিয়ানি ও কাবার অনেকেরই পছন্দ। তবে বেশিরভাগ সময়ই বিরিয়ানি তৈরি করা হয় গরু বা খাসির মাংস দিয়ে। আর বিরিয়ানি রান্নায় ব্যবহার হয় অতিরিক্ত মসলা ও তেল। অনেকে আবার স্বাদের জন্য এতে ঘি ও মাখন যোগ করে।
‘যারা স্থূলতা, হৃদরোগ, কোলেস্টেল, হজমের গোলমাল ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছে, তারা ইফতারের সময় এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন। এগুলো দেহের বিভিন্ন সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। আর কাবাবের ক্ষেত্রে পুড়িয়ে রান্না করা খাবার এড়িয়ে যেতে হবে,’ বলছিলেন পপুলার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের প্রধান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি।
রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে একসঙ্গে অনেক ভারী ও গুরুপাক খাবার খাওয়ার কারণে হার্টে রক্তসঞ্চালন কমে যায়। শরীরের বেশিরভাগ রক্ত পাকস্থলীতে সঞ্চালিত হয়। তখন বেশি খাবার হজমের জন্য বাড়তি রক্ত পরিসঞ্চালনের প্রয়োজন পড়ে। এতে হৃদযন্ত্রের রক্ত সঞ্চালন কমে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়াও প্যাপটিক আলসার, ডায়াবেটিস, এমনকি স্ট্রোকের ঝুঁকিও হতে পারে।’
সারাদিন রোজা রেখে, অভুক্ত থেকে ইফতারের সময় বিরিয়ানি খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়- জানিয়ে পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি বলেন, ‘তবে কাবাবের ক্ষত্রে সবজি ও মাংস একসঙ্গে মিশিয়ে কম মসলা ও অল্প তেল দিয়ে রান্না করলে অতটা ক্ষতি করবে না।’
অবশ্য, যাদের গরু বা খাসির মাংস খাওয়া নিষেধ, তারা এ খাবারটিও এড়িয়ে যান। মুখের স্বাদ মেটাতে এসব খাবার হয়তো খেলেন, কিন্তু পরে বিপত্তিটা ঘটবে শরীরে। আর এতে সুস্থভাবে রোজা পালনেও অসুবিধা হবে- জানান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন।