সাতকাহন২৪.কম ডেস্ক
সান্তা ক্লজের লাল-সাদা জামা, ক্রিসমাস ট্রি, চকোলেট-কুকিস, বেলুন, বিশেষ কেক, নতুন জামা-জুতো- এগুলোই যেন বড়দিনের আনন্দ। তবে এই আনন্দ আরেকটু বেড়ে যেতে পারে সুন্দর অন্দরসজ্জার মাধ্যমে। একটু ছোট-খাটো পরিবর্তনেই কিন্তু ঘরে আসতে পারে নতুনত্ব।
‘বসার ঘরের সম্পূর্ণ সিলিংয়ে হয়তো লাগালেন নীল, সাদা, বেগুণি রঙের মরিচ বাতি। জরির কাগজ, রিবন ঝুলিয়ে দিলেন তার চারপাশে। আরেকটু উৎসবের আমেজ আনতে বাসার সবগুলো ঘরই হয়তো এভাবে সাজিয়ে তুললেন। আবার ঘরের পর্দাগুলোতে আনলেন নতুনত্ব। সিল্ক, সার্টিন, ভেলভেট কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করলেন। অথবা সাধ্য অনুযায়ী জামদানি, ব্লক প্রিন্ট বা মসলিন, তাঁতের কাপড়ও ব্যবহার করা যায়,’ বলছিলেন, অ্যাস্থেটিক ইন্টেরিয়র’স প্রধান পরামর্শক ও ডিজাইনার সাবিহা কুমু।
তবে পর্দা যে কাপড়েরই ঝুলান না কেন, তার সঙ্গে যেন বিছানার চাদর, সোফা বা বিছানার কুশন কভার, টেবিলক্লথগুলো মানানসই হয়। এগুলোর রঙ নির্বাচনে যেন উৎসব ও আভিজাত্যের আমেজ থাকে। সম্ভব হলে বসার ঘরের একটি দেয়ালকে লাল, কমলা, সোনালি, হলুদ ইত্যাদি রঙও করে দিতে পারেন। আর সেই দেয়ালকে সাজালেন একটু ভিন্নভাবে। সেই দেয়ালেই হলো ঘরের বিশেষ আর্কষণ। দেয়ালে ঝুলিয়ে দিলেন মরিচ বাতি। এর পাশে থাকলো ছোট ছোট ঘণ্টা, সান্তা ক্লজের ছোট পুতুল ইত্যাদি।

ডিজাইনার সাবিহা কুমু বলেন, ‘এ দিনের বিশেষ আকর্ষণ কিন্তু ক্রিসমাস ট্রি। লাইট, রিবন, সান্তাক্লজের ছোট পুতুল, ঘণ্টা, চাঁদ, তারা ইত্যাদি দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি-কে সাজাতে পারেন মনের মতো করে। এখন বাজারে এগুলো সেট হিসেবে কিনতে পাওয়া যায়। বসার ঘরের এককোণে বা ঘরের সুবিধামতো একটি জায়গায় আয়তন অনুযায়ী ছোট বা বড় ক্রিসমাস ট্রি বসিয়ে দিতে পারেন। পাশেই থাকলো সান্তা ক্লজ বা মা মেরির একটি প্রতিকৃতি।’
এ দিন উপহার দেওয়ার একটি রেওয়াজ তো সবসময় থাকে। এসব উপহারসামগ্রী রঙিন কাগজে মুড়ে ক্রিসমাস ট্রি- এর নিচে একটি মাদুর বিছিয়ে ছড়িয়ে রেখে দিতে পারেন। অথবা ছোট একটি টেবিলও রাখতে পারেন উপহারগুলো। সেই টেবিল বা মাদুরের পাশে রইলো সান্তা ক্লজের টুপি, মুজো বা জুতো। পাশেই একটি জারে রেখে দিতে পারেন চকোলেট, ক্যান্ডি, কুকি ইত্যাদি।

ঘরের শোভা বাড়াতে ফুল ও আলোকসজ্জার কিন্তু বিকল্প নেই। একটি পাত্রে পানি নিয়ে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দিতে পারেন। সঙ্গে জ্বালিয়ে দিলেন ভাসবান মোমবাতি। আবার সেন্টার, কর্নার টেবিল বা ডাইনিং টেবিলের উপরে রাখতে পারেন তাজা ফুল। মূল প্রবেশদ্বারে জায়গা বুঝে গাছ বা প্রদীপ জ্বালানো যেতে পারে। উৎসবের পাশাপাশি একটি স্নিগ্ধ আমেজও ফুলে উঠবে ঘরে।
মোদ্দাকথা, উৎসবের আমেজ ফুটে উঠে আসলে আলোকসজ্জার মাধ্যমে। তাই ঘরে যেন পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে- এমনটাই পরামর্শ দিলেন ইন্টরিয়র ডিজাইনার সবিহা কুমু।