তবে বিষয়গুলোতে একটু সচেতন হলেই প্রতিরোধ করা যায়।
যেমন –
- এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং সঠিক তথ্য জানতে হবে।
- জটিলতাগুলো বুঝতে হবে।
- মাসিক নিয়ন্ত্রণ ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে।
- সঠিক সময়ে, সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার জ্ঞান থাকতে হবে। কী ধরনের সেবাদানকারীর কাছে গেলে সে সঠিক ব্যবস্থাপনা পাবে এবং সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারবে সেটা জানা জরুরি।
- ১৯৬৫ সাল থেকে বাংলাদেশে পরিবার-পরিকল্পনা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে সাতটির বেশি এই পদ্ধতি চালু রয়েছে। আপনি পরিবার- পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য ক্লিনিক যেতে পারেন। কমিউনিটি লেভেল থেকে শুরু করে, থানা ও জেলা পর্যায় যেখানেই যান না কেন, সরকারি পর্যায়ে পরিবার -পরিকল্পনা ক্লিনিক পাবেন। এনজিওরা এই পদ্ধতি দিচ্ছে। সোস্যাল মার্কেটিং কোম্পানির মাধ্যমে যেকোনো ফার্মেসিতে বা দোকানেও এই পদ্ধতি পেতে পারেন।
- খাওয়ার বড়ি ব্যবহার করতে পারেন। প্যাকেটের গায়ের মধ্যেই লেখা থাকে ব্যবহারবিধি।
সুতরাং অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভাবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পরিবার- পরিকল্পনা পদ্ধতি জীবন বাঁচানো প্রযুক্তি। এটা ব্যবহার না করলে এই ধরনের গর্ভ হবে। এটি থেকে মুক্তি পেতে ভুল ব্যবস্থাপনার কাছে চলে যাবেন। এতে শারীরিক ক্ষতি, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই নারীস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিষয়টিতে সচেতন হওয়া খুবই জরুরি।
লেখক :
রোকেয়া পদকে ভূষিত বিশিষ্ট নারী ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ